এয়ারএশিয়ার ফ্লাইটের খাবার পাওয়া যাচ্ছে রেস্তোরাঁয়

সানটান রেস্তোরাঁউড়োজাহাজ আকাশপথে থাকলে যেসব খাবার পরিবেশন করা হয় সেগুলোর মান ও স্বাদ নিয়ে বেশিরভাগ সময় ভ্রমণকারীদের মধ্যে হতাশা দেখা দেয়। তবে এয়ারএশিয়া চিত্রটা বদলে দিতে চায়। নিজেদের ফ্লাইটে মুখরোচক খাবার নিশ্চিত করা হয় বলে দাবি তাদের। 

তবে এয়ারএশিয়ার টিকিট না কেটেও এখন থেকে এসব সুস্বাদু খাবার উপভোগ করা যাবে। গত ২ ডিসেম্বর মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে একটি রেস্তোরাঁ চালু করেছে দেশটির এই বাজেট এয়ারলাইনস। এর নাম ‘সানটান’। এয়ারএশিয়ার ফ্লাইটে যেসব খাবার থাকে, এই দোকানে সবই মিলবে।

‘সানটান’ একটি মালয় শব্দ। এর অর্থ নারিকেলের দুধ। মালয়েশিয়ার অনেক পদের মূল উপকরণ এটি। এসব খাবারের মধ্যে এয়ারএশিয়ার ফ্লাইটে ও রেস্তোরাঁয় পাওয়া যাচ্ছে নাসি লামাক, সাতে স্কুয়ারস ও বিফ রেনডাঙ। এছাড়া দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার চাইনিজ-মালয়েশিয়ান ঢঙের চিকেন রাইস, ফিলিপাইনের চিকেন ইনাসাল ও ভিয়েতনামিজ ফো উল্লেখযোগ্য।

এয়ারএশিয়ার মূল হাব কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। বিশ্বের ২৫টি হাব থেকে ১৪০টি গন্তব্যে যাত্রীসেবা দিচ্ছে এটি। বাংলাদেশ থেকেও বিশ্বের বিভিন্ন গন্তব্যে যাত্রীসেবা দিয়ে থাকে মালয়েশিয়ার এই বিমান সংস্থা।

যেসব দেশে এয়ারএশিয়ার কার্যক্রম রয়েছে, মেন্যু ও খাবারের উপকরণে কফি থেকে শুরু করে চা, মসলাসহ সবকিছুতেই সেগুলোর প্রতিফলন পাওয়া যায়। ভোজনরসিকরা ব্যক্তিগতভাবে রেস্তোঁরায় এসে কিংবা অনলাইনে অর্ডার দিয়ে খাবারগুলো পেতে পারেন।

পাঁচজন শেফ ও রন্ধন বিষয়ক শিক্ষার্থীদের একটি দল এয়ারএশিয়ার মেন্যু সাজিয়ে থাকে। স্বাভাবিকভাবেই ফ্লাইটের চেয়ে রেস্তোরাঁয় খাবারের পরিমাণ বেশি। কারণ উড়োজাহাজে জায়গার সীমাবদ্ধতা রয়েছে।

রেস্তোরাঁটির মহাব্যবস্থাপক ক্যাথরিন গোহ বলেন, ‘ফ্লাইটের মেন্যু রেস্তোরাঁয় আনতে পেরে আমরা গর্বিত। এসব খাবার সবার নাগালের মধ্যে। এর মাধ্যমে নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে।’

এয়ারএশিয়ার সদর দফতর কুয়ালালামপুরে। তবে দেশের সীমানা পেরিয়ে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রে সানটানের মতো রেস্তোরাঁ খুলতে আশাবাদী এই সংস্থা।

সূত্র: সিএনএন