প্রতিমন্ত্রীর কথায়, ‘আধুনিক বাংলাদেশের রূপকারপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা ও তত্ত্বাবধানে বিমানবন্দরকে যাত্রীদের স্বস্তির জায়গায় পরিণত করতে পদক্ষেপ নিয়েছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। বিমানবন্দরকে যাত্রীদের জন্য ভূমিতে শান্তির নীড়ে পরিণত করার চেষ্টা চালাচ্ছি আমরা। বিমানবন্দরে কর্মরত সব সংস্থার সমন্বয়ে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যাত্রীদের ব্যাগেজ সরবরাহ করা, নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং সহজ, আরামদায়ক, নিরাপদ ও স্বস্তির ভ্রমণ নিশ্চিত করা হচ্ছে। এখন ৩০-৪০ মিনিটের মধ্যে যাত্রীরা ব্যাগেজ পাচ্ছেন। দেশের সব বিমানবন্দরের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। যাত্রীদের প্রয়োজনীয় সব সুবিধা নিশ্চিতকরণে চেষ্টা করছি আমরা।’
এভিয়েশন খাতে বাংলাদেশে একটি সম্ভাবনার নাম উল্লেখ করেন প্রতিমন্ত্রী। তার দাবি, এই সম্ভাবনাকে সফলতায় রূপান্তরের জন্য কাজ চলছে। এই অর্জন ধরে রাখতে ও বিমানবন্দরের সেবা আরও বৃদ্ধির জন্য সবার সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি। মাহবুব আলী বলেন, ‘আমাদের সাফল্যের অংশীদার এই খাতের সবাই। মন্ত্রণালয়, সরকারি-বেসরকারি অংশীজন ও গণমাধ্যমের কার্যকর ভূমিকার সুবাদে সাফল্য এসেছে।’
পর্যটন প্রতিমন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রীর আগ্রহ ও নির্দেশনায় দেশের বিমানবন্দরগুলোর উন্নয়নে বর্তমানে বেশকিছু মেগা প্রকল্প চলমান রয়েছে। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের কাজ শুরুর কথা তুলে ধরেন তিনি। এটি নির্মাণে মোট ব্যয় হবে ২১ হাজার ৩৯৯ কোটি টাকা। এর কাজ সম্পন্ন হয়ে গেলে ৩ লাখ ৩০ হাজার বর্গমিটার আয়তনের, ২০টি বোর্ডিং ব্রিজ, ২১টি কনভেয়র বেল্ট ও ১৭৭টি চেক-ইন কাউন্টার নিয়ে বছরে মোট ২ কোটি যাত্রীকে সেবা প্রদান করা যাবে। তার ভাষ্য, ‘টার্মিনালটির সব সেবা হবে স্বয়ংক্রিয় ও আন্তর্জাতিক মানের। যাত্রীদের ভ্রমণকে সহজ ও স্বস্তির করে তুলতে প্রয়োজনীয় সবকিছু থাকবে এই ভবনে।’
বিমান পরিবহন প্রতিমন্ত্রীর মন্তব্য, ‘সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস বিশ্বের অন্যতম প্রধান একটি আকাশসেবা সংস্থা। ঢাকা-সিঙ্গাপুর রুটে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের অত্যাধুনিক এয়ারবাস এ-৩৫০ সংযোজনের মাধ্যমে যাত্রীদের কাঙ্ক্ষিত সেবা পাওয়ার সুযোগ বৃদ্ধি পাবে। আশা করবো, প্রতিযোগিতার এই বাজারে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস সেবার মান বজায় রেখে যাত্রী সন্তুষ্টি অর্জনে সফল হবে।’
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান, বাংলাদেশে সিঙ্গাপুর কনস্যুলেটের কনসাল উইলিয়াম চিক, সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের জেনারেল ম্যানেজার জর্জ রবার্টসন প্রমুখ।