একনজরে জিরো-জি
অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমী পর্যটকদের জিরো-গ্র্যাভিটি ফ্লাইট পরিচালনার জন্য প্রত্যয়িত যুক্তরাষ্ট্রের একমাত্র বিমানে চড়ার সুযোগ দেবে জিরো-জি। এ ধরনের অভিজ্ঞতা কেবল আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনেই উপভোগ করা যায়। অ্যাডভেঞ্চারে আগ্রহীদের আনন্দ দিতে জিরো-জি’র এ বছরের ফ্লাইট শিডিউল প্রকাশিত হয়েছে।
বোয়িং ৭২৭ মডেলের একটি উড়োজাহাজকে জিরো-গ্র্যাভিটি ফ্লাইটের উপযোগী করা হয়েছে। এটিকে বলা হচ্ছে জি-ফোর্স ওয়ান। ভ্রমণকারীদের ফ্লাইট স্যুট পরতে দেওয়া হবে। এর মাধ্যমে ওজনহীনতার অভিজ্ঞতা পাবেন তারা। জিরো-গ্র্যাভিটি ফ্লাইটের কেবিনে যাত্রীরা সুপারম্যানের মতো উড়তে পারবেন। কেউ চাইলে আকর্ষণীয় অ্যাক্রোব্যাটিক ডিগবাজি দেওয়া যাবে অনায়াসে।
জিরো-গ্র্যাভিটি ফ্লাইট কীভাবে কাজ করবে?
ব্যাপারটা বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে প্রয়োগ করা হবে। জিরো-গ্র্যাভিটির জন্য পাইলটকে অ্যারোব্যাটিক কসরত করতে হবে, এটি ‘প্যারোবোলা’ নামে পরিচিত। লাস ভেগাসের ম্যাককারান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে যাবে বিমানটি। এরপর জনশূন্য অ্যারিজোনার ওপর দিয়ে উড়বে এটি। পাইলটকে তখন ২৪ হাজার ফুট উচ্চতায় বিমান চালাতে হবে। এরপর ৩২ হাজার ফুট উঁচুতে উঠলে প্যারাবোলার শীর্ষে উঠে যাবে বিমানটি। তখন প্রায় ৩০ সেকেন্ডের জন্য যাত্রীদের মধ্যে মহাকাশ ভ্রমণের অনুভূতি হবে এবং তারা ভেসে বেড়াচ্ছেন!
এ ধরনের অভিজ্ঞতার জন্য স্বাভাবিকভাবেই তুলনামূলকভাবে একটু বেশি অর্থ দরকার। প্রতিটি জিরো-জি ফ্লাইটে রয়েছে ৩৪টি আসন। প্রত্যেক ভ্রমণকারীকে ৫ হাজার ৪০০ মার্কিন ডলার (প্রাঢ ৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা) এবং পাঁচ শতাংশ কর দিতে হবে। প্রতি আসনের প্যাকেজে নাশতা, দুপুরের খাবার ও পেশাদার আলোকচিত্রীর তোলা ছবিসহ সাত থেকে আট মিনিটের জিরো-গ্র্যাভিটি অভিজ্ঞতা পাওয়া যাবে।
তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া