এভিয়েশন ওয়েবসাইট এক্সিকিউটিভ ট্রাভেলারের তথ্যানুযায়ী, সিডনি থেকে লন্ডন হলো কোয়ান্টাসের ক্যাঙ্গারু রুট। তাদের কিউএফওয়ান ফ্লাইটটি সাধারণত সিঙ্গাপুর হয়ে লন্ডন যেতো। কিন্তু কোভিড-১৯ ঠেকাতে সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দর গত ২৪ মার্চ থেকে যাত্রীদের যাতায়াত নিষিদ্ধ করেছে। এ কারণে কিছুটা জটিলতা সৃষ্টি হয়।
গত ২৬ মার্চ ক্যাঙ্গারু রুটে বিকল্প হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার উত্তর প্রান্তের শহর ডারউইনে জ্বালানির জন্য দেড় ঘণ্টার বিরতি নেয় কোয়ান্টাসের এ৩৮০ উড়োজাহাজ। এরপর ১৬ ঘণ্টারও বেশি সময় পাড়ি দিতে উড্ডয়ন করে ফ্লাইটটি।
জুতসই লোকেশনের জন্যই সিডনি থেকে লন্ডনে সরাসরি ফ্লাইট চালানোর সময় বিরতির জন্য ডারউইনকে বেছে নেওয়া হয়। কয়েক দশক পর আকাশপথে ডারউইন থেকে লন্ডনে সরাসরি যাত্রীসেবা দেওয়া হলো। ১৯৩০-এর দশকে ক্যাঙ্গারু রুটের ক্ষেত্রে এই শহরে বিরতি টানা হতো।
এভিয়েশন ভিত্তিক ওয়েবসাইট এয়ারলাইন রেটিংসের এডিটর-ইন-চিফ জিওফ্রে থমাস জানান, তখন রিটার্ন টিকিটের ভাড়া ছিল ৪০০ পাউন্ড। এ কারণে ধনী কিংবা বিখ্যাত ব্যক্তিদেরই কেবল এই ভ্রমণ উপভোগের সামর্থ্য ছিল।
গত ২৭ মার্চ লন্ডন থেকে উড্ডয়ন করে কোয়ান্টাসের কিউএফটু ফ্লাইট। পরদিন ডারউইন হয়ে সিডনিতে অবতরণ করে এ৩৮০ উড়োজাহাজটি।
এভিয়েশন ওয়েবসাইট ওয়ান মাইল অ্যাট অ্যা টাইম জানিয়েছে, যাত্রীরা শেষবারের মতো কোয়ান্টাসের লাল লেজবিশিষ্ট এ৩৮০ উড়োজাহাজে চড়ার সুযোগ পেলেন। কারণ আগামী মে মাসের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত ১৫০টি উড়োজাহাজ গ্রাউন্ডেড রাখবে এই সংস্থা। এর মধ্যে আছে তাদের ১২টি এ৩৮০।
এদিকে এয়ারবাস ২০২১ সাল পর্যন্ত সুপারজাম্বোর উৎপাদন স্থগিত রাখবে। অন্যান্য বিমান সংস্থা তাদের বহর থেকে এই উড়োজাহাজ সরিয়ে নিয়েছে। যদিও ডাবল ডেকার আকাশযানটি যাত্রীদের মধ্যে জনপ্রিয়।
২০১৮ সালের মার্চে অস্ট্রেলিয়ার পার্থ থেকে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে বোয়িং ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ দিয়ে প্রথম সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা করে কোয়ান্টাস।