বিমানবন্দরের সামনে দিয়ে উইসকনসিনের বিভিন্ন গন্তব্যে যাওয়ার সময় দর্শনার্থীরা বিশেষ আলোক প্রদর্শনী উপভোগ করছেন। এজন্য গাড়ির বাইরে আসার প্রয়োজন হচ্ছে না। তাই স্বাস্থ্যঝুঁকির আশঙ্কাও নেই তাদের।
আমেরিকান সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে ডিসিআরএ’র পরিচালক (বিপণন ও যোগাযোগ) ব্রেন্ট কাইজার-ম্যাকহেনরি বলেন, ‘মানুষ ঘর থেকে বাইরে বের হলেও নিরাপদে আমাদের আয়োজন উপভোগ করছেন। কারণ গাড়িতে বসেই সবাই সব দেখতে পারছেন।’
এ প্রসঙ্গে ব্রেন্ট কাইজার-ম্যাকহেনরি বলেন, ‘করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার কারণে মানুষ নিজের ও অন্যদের সুরক্ষায় সেল্ফ-কোয়ারেন্টিনে আছে। তাই একই আকর্ষণের মাধ্যমে করোনা পরিস্থিতিতে সেবা প্রদানকারী স্বাস্থ্যকর্মীসহ সামনের সারির মানুষদের প্রতি সম্মান জানানোর কথা ভেবেছি আমরা।’
স্বাস্থ্যকর্মীদের সম্মানে আলো জ্বেলে ‘থ্যাংক ইউ’ (ধন্যবাদ) ও ‘হোপ’ (আশা) বার্তা দুটি তুলে ধরেছেন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। এছাড়া ফুটিয়ে তোলা হয়েছে হৃদয় আকৃতি ও জরুরি চিকিৎসা সেবার সংক্ষিপ্ত রূপ ‘ইএমএস’।
ডেরিক হার্নডন নামের একজন ভ্রমণপ্রেমী টুইটারে লিখেছেন, ‘অল্প কিছু সময়ের জন্য বাড়ির বাইরে বেরিয়ে পারিবারিক চিত্তবিনোদনের সুযোগ বলা যায় এই আয়োজন। আমরা সত্যিই উপভোগ করেছি। এই উদ্যোগের প্রশংসা করতেই হয়।’
আগামী ১০ মে পর্যন্ত প্রতিদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত উন্মুক্ত থাকবে ডেন কাউন্টি রিজিওনাল বিমানবন্দরের আকর্ষণটি।