কাঞ্চনজঙ্ঘা ও শিলিগুড়ি শহরের দূরত্ব ১০০ কিলোমিটার। তবুও ২৮ হাজার ১৬৯ ফুট উঁচু এই পর্বতশঙ্গ দৃশ্যমান। এজন্য সারাভারতে আরোপিত অবরোধকে (লকডাউন) ধন্যবাদ দেওয়া যায়! জনজীবন স্থবির থাকায় বায়ুদূষণ ব্যাপক হ্রাস পেয়েছে। ফলে এটি সম্ভব হয়েছে।
শিলিগুড়ি শহর থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা পরিষ্কার দেখা যাওয়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। টুইটারে একজন জানিয়েছেন, শিলিগুড়িতে নিজেদের বাড়ি থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার ছবি তুলেছেন তার বাবা। সেটি ভাইরাল হতেই অনেকে পর্বতশৃঙ্গটির ছবি তুলে শেয়ার করেছেন। এর মধ্যে কয়েকটি দার্জিলিংয়ের নাইটিঙ্গেল পার্ক থেকে তোলা।
লকডাউনে মানুষ ঘরবন্দি থাকায় প্রকৃতিতে যেন প্রাণ ফিরেছে। সড়কে যেখানে আগে শুধু মানুষ দেখা যেতো, সেখানে বিচরণ করেছে বন্যপ্রাণীরা। নদীর জল হয়ে উঠেছে স্বচ্ছ। বায়ুদূষণ নেমে গেছে সর্বনিম্ন স্তরে।
কিছুদিন আগে পাঞ্জাবের জালান্ধার শহর থেকে ঘরে বসেই ১২৫ মাইল দূরে তুষারাবৃত হিমালয় পর্বতমালার ধওলাধর রেঞ্জ দেখে বিস্মিত হন অনেকে। ৩০ বছর পর এর পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। এরপর উত্তর প্রদেশের সাহারানপুর থেকে দৃশ্যমান হয় তুষারে আচ্ছাদিত হিমালয়ের চূড়া।