কিয়স্কে যাত্রীরা চেক-ইন, বোর্ডিং পাস গ্রহণ, ফ্লাইটে আসন নির্ধারণ ও ব্যাগেজ ড্রপ সুবিধা পাচ্ছেন। তাদের সহায়তা করতে এমিরেটসের কর্মীরা সামনেই অপেক্ষমাণ থাকেন। এসব স্থাপনা নিয়মিতভাবে পরিচ্ছন্ন ও জীবাণুমুক্ত রাখা হচ্ছে। যাত্রীদের ব্যবহারের জন্য প্রতিটি কিয়স্কে রয়েছে স্যানিটাইজার।
তবে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, চীন, ভারত ও হংকংগামী যাত্রীদের এমন সুবিধা দেওয়া যাচ্ছে না। কারণ এসব গন্তব্যে ভ্রমণের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত কিছু আনুষ্ঠানিকতার প্রয়োজন হয়।
দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এবং দুবাই এমিরেটস ইঞ্জিনিয়ারিং প্রকল্পের সহযোগিতায় এমিরেটস নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সেলফ-সার্ভিস সুবিধা প্রদান করছে। ক্রমে এগুলোকে আরও উন্নত করা ও নতুন নতুন ফিচার যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বৃহৎ বিমান সংস্থার। এর মধ্যে থাকবে স্পর্শহীন চেক-ইন ও নিজেই রি-বুকিং করার সুবিধা। পাশাপাশি এ ধরনের কিয়স্কের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে।
করোনাভাইরাস মহামারিকালে যাত্রীদের সুবিধার্থে বুকিং পলিসি শিথিল করেছে এমিরেটস। ২০২১ সালের ৩১ মার্চ বা তার আগে ভ্রমণের জন্য টিকিট ক্রেতারা রি-বুকিংয়ের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সুবিধা পাবেন। গ্রাহকরা ভ্রমণের দিনক্ষণ পরিবর্তন, টিকিটের মেয়াদ দুই বছর পর্যন্ত বৃদ্ধি, ভবিষ্যতে নিজের, স্বজন ও বন্ধুদের জন্য ফ্লাইট সংক্রান্ত টিকিট কেনার বিপরীতে ট্রাভেল ভাউচার নিতে পারবেন।
আকাশপথে যাতায়াতে যাত্রীদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে এমিরেটস বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে– ভ্রমণের সব ধাপে বায়ো-সেফটি ব্যবস্থা, কোভিড-১৯ সংক্রমিতদের বিনামূল্যে বিমা কাভারেজ এবং উদার বুকিং নীতি। আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত এমিরেটসে ভ্রমণকারী কোনও যাত্রীর মধ্যে কোভিড-১৯ রোগের উপসর্গ ধরা পড়লে সংস্থাটির পক্ষ থেকে চিকিৎসার ব্যয় বহন করা হবে।
বর্তমানে ঢাকা থেকে এমিরেটসের ৯টি সপ্তাহিক ফ্লাইট চলছে। যাত্রীরা দুবাই গিয়ে সুবিধাজনক সংযোগকারী ফ্লাইটে বিশ্বের ৯০টির বেশি নগরীতে ভ্রমণ করতে পারছেন।