জানা গেছে, উত্তর-পূর্ব ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমানবন্দরটি আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে ইতোমধ্যে রানওয়ে নির্মাণ, নতুন টার্মিনাল ভবনসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ শুরু হয়েছে। বর্তমানে এয়ারএশিয়া, ইন্ডিগো ও এয়ার ইন্ডিয়া আগরতলা থেকে অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন গন্তব্যে চলাচল করে থাকে।
দীর্ঘদিন ধরেই আগরতলা থেকে ঢাকায় সরাসরি ফ্লাইট চালুর প্রস্তাব দিয়ে আসছে ভারত। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলীর সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতেই পুনরায় এটি তুলেছেন বাংলাদেশে নবনিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী। বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের কক্ষে আলোচনা হয় তাদের।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একবার ভারত সফরে যাওয়ার পর ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব একটি অনুষ্ঠানে আগরতলা-ঢাকা সরাসরি ফ্লাইট চালুর বিষয়ে প্রস্তাব দেন। আগরতলা বিমানবন্দর সম্প্রসারণের জন্য বাংলাদেশের ভূমি ব্যবহারের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিল ভারত। রানওয়েতে লাইটের কমপ্লিট ফেইজের জন্য বাংলাদেশে কিছু অংশে লাইট বসাতে চায় প্রতিবেশী রাষ্ট্রটি।
বৃহস্পতিবারের সাক্ষাতে ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, ‘এয়ার বাবল ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দুই দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ আরও বৃদ্ধি পাবে। বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক শক্তিশালী ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত। দিনে দিনে এই সম্পর্ক আরও দৃঢ় হচ্ছে। শক্তিশালী সম্পর্ক দুই দেশের জনগণের কল্যাণে ভূমিকা রাখবে।’
বিমান প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন একই অভিমত– ‘এয়ার বাবল ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে করোনাভাইরাসের কারণে বন্ধ থাকা বিমান চলাচল পুনরায় চালুর মাধ্যমে দুই দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা হবে। এর মাধ্যমে দুই দেশের জনগণের যাতায়াত আরও সহজ ও আরামদায়ক হবে। মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় জনগণের অবদানের কথা বাংলাদেশের মানুষ সবসময়ই কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার দুই বন্ধু রাষ্ট্রের জনগণের মধ্যে আরও জোরদার সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করছে।’
কোভিড-১৯ মহামারিতে সারাবিশ্বের মতো ভারতীয় এয়ারলাইনসগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ বিষয়টি উল্লেখ করে বাংলাদেশের বিমানবন্দর ব্যবহারকারী ভারতীয় এয়ারলাইনসের জন্য সব সাধারণ চার্জ কমানোর অনুরোধ জানান বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী। একইসঙ্গে বাংলাদেশের সব বিমানবন্দরে ডিজিটাইজেশন নিয়ে কাজ করার প্রস্তাব দেন তিনি।