বাজেটে বরাদ্দের ১ টাকাও পায় না বিমান!

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসসরকারের বাজেট বরাদ্দ থেকে এক টাকাও রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসকে দেওয়া হয় না বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন সচিব মহিবুল হক। তিনি বলেন, ‘বিমান সম্পূর্ণভাবে নিজস্ব অর্থায়নে চলে। এক টাকাও রাষ্ট্রের বাজেট থেকে দেওয়া হয় না। কিন্তু আমাদের দেশে অনেকের ধারণা, বিমান বোধহয় সরকারি টাকায় চলে।’ সোমবার (৬ মে) বিকালে ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রাক-বাজেট আলোচনায় তিনি এসব তথ্য জানিয়েছেন। এর আয়োজন করে সাংবাদিকদের সংগঠন এভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (এটিজেএফবি)।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন সচিব মহিবুল হকবেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়ের এই সচিব বলেন, ‘বিমান যেসব নতুন উড়োজাহাজ কেনে, সেগুলোর জন্য ঋণ নিতে হয় তাদের। সেই অর্থ বিমানই পরিশোধ করে। বিমান কেনার সময় সরকার শুধু ব্যাংক ঋণের নিশ্চয়তা দেয়। বিমান যদি ঋণ পরিশোধ করতে না পারে সরকার তা মিটিয়ে দেবে, সরকার শুধু এই সুযোগটুকু দেয়।’
বিমানের অভ্যন্তরীণ অনিয়মের বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়ে মহিবুল হক বলেন, ‘বিমানকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। আগামী দুই মাসের মধ্যে বিমানের চেহারা বদলে যাবে। অনেকে মনে করছেন বিমান লোকসানে নাজুক একটি প্রতিষ্ঠান। আসলে কিন্তু তা নয়। বিমান লাভজনক অবস্থানে রয়েছে। এ অর্থবছরে বিমান লোকসান করবে না। গত বছরের এপ্রিলের তুলনায় গত মাসে বিমান ১৪৩ কোটি টাকা বেশি আয় করেছে টিকিট বিক্রির মাধ্যমে।’
এটিজেএফবি’র সভাপতি নাদিরা কিরণের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।
এছাড়া আরও অংশ নেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (ট্যাক্স পলিসি) কানন কুমার রায়, ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (টোয়াব) সভাপতি তৌফিক উদ্দিন আহমেদ, অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশের (আটাবের) মহাসচিব আব্দুস সালাম, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের মহাব্যবস্থাপক শাকিল মেরাজ, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইমরান আসিফ প্রমুখ।