এয়ারলাইনের জন্য পরিবেশ ব্যবস্থাপনা ও মূল্যায়ন ধারার অংশ হিসেবে অবৈধ বণ্যপ্রাণী বাণিজ্যের (আইডব্লিউটি) মূল্যায়ন প্রতিবেদন তৈরি করেছে আইএটিএ। তাদের সহায়তা করেছে দ্য ডিউক ও ডাচেস অব ক্যামব্রিজ (প্রিন্স উইলিয়াম ও কেট মিডেলটন) আর দ্য ডিউক ও ডাচেস অব সাসেক্সের (প্রিন্স হ্যারি ও মেগান মার্কেল) দ্য রয়েল ফাউন্ডেশন। এছাড়া ইউএসএইডের বিপন্ন প্রজাতির প্রাণী বেআইনিভাবে পাচারের সুযোগ হ্রাসের (রুটস) অংশীদারিত্ব আছে সংগঠনটির।
২০১৬ সালে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে প্রশাসনিক সদর দফতর বাকিংহ্যাম প্যালেসে আকাশপথে অবৈধ বন্যপ্রাণী পাচার প্রতিরোধের অঙ্গীকার করে কাতার এয়ারওয়েজ। এক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে কাতারের পতাকাবাহী এই সংস্থা। আগামীতে সচেতনতা বৃদ্ধি ও অবৈধ কার্যক্রম প্রতিরোধ অব্যাহত রাখার কথা জানিয়েছেন আকবর আল বাকের।
আইএটিএ মহাপরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আলেকসঁন্দ ডি জুনিয়াক জানান, অবৈধ বন্যপ্রাণী পাচারের মাধ্যমে বছরে ২৩০ কোটি মার্কিন ডলারের (১ লাখ ৯৪ হাজার ৪৮৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা) লেনদেন হয়। তার মন্তব্য, ‘অসাধু ব্যবসায়ীদের কারণে বিশ্বের সবচেয়ে বিপন্ন প্রজাতির প্রাণীরা হুমকির মুখে।’
গত বছর আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহন রেটিং সংগঠন স্কাইট্র্যাক্সের দেওয়া ওয়ার্ল্ড এয়ারলাইন অ্যাওয়ার্ডসে বিশ্বসেরা বিজনেস ক্লাস পুরস্কার জেতে কাতার এয়ারওয়েজ। একই আসরে সেরা বিজনেস ক্লাস আসন, মধ্যপ্রাচ্যের সেরা এয়ারলাইন ও বিশ্বসেরা ফার্স্ট ক্লাস এয়ারলাইন লাউঞ্জ স্বীকৃতি পায় তারা। এছাড়া চারবার স্কাইট্র্যাক্সের বর্ষসেরা এয়ারলাইন স্বীকৃতি গেছে তাদের ঘরে।
বর্তমানে বিশ্বের ১৬০টি গন্তব্যে যাত্রীসেবা দিচ্ছে কাতার এয়ারওয়েজ। তাদের বহরে আছে ২৫০টিরও বেশি উড়োজাহাজ। এর মূল হাব হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এ বছর মাল্টা, ফিলিপাইনের দাভাও, পর্তুগালের লিসবন, সোমালিয়ার মোগাদিশু, মরক্কোর রাবাত, তুরস্কের ইজমির ও মালয়েশিয়ার ল্যাংকাউইসহ নতুন কয়েকটি রুটে ফ্লাইট চালু করেছে তারা। ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফার অফিসিয়াল পার্টনার কাতারের রাষ্ট্রীয় এই বিমান সংস্থা।