দুর্ব্যবহারের কারণে যাত্রীকে ১ লাখ ডলারেরও বেশি জরিমানা

জেটটু’র উড়োজাহাজএকটি ফ্লাইটে ব্যাঘাত ঘটাতে একজন যাত্রীই যথেষ্ট! গত মাসে ব্রিটিশ বাজেট এয়ারলাইনস জেটটুর একজন নারী যাত্রী সেটাই প্রমাণ করেছিলেন। তার চরম বিরক্তিকর আচরণের কারণে একটি ফ্লাইট নির্ধারিত বিমানবন্দরে যাওয়ার আগে ফের পেছাতে হয়েছে। তুরস্কের দক্ষিণ-পশ্চিমে দালামান বিমানবন্দর থেকে যুক্তরাজ্যে লন্ডন স্টানস্টেড বিমানবন্দরে আসছিল বিমানটি।

ক্লোয়ি হেইন্স নামের ওই যাত্রীকে এবার ১ লাখ ৫ হাজার মার্কিন ডলারের (৮৮ লাখ ৭২ হাজার ৫০০ টাকা) একটি জরিমানার বিল ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে জেটটু তাদের সব ফ্লাইটে স্থায়ীভাবে তাকে নিষিদ্ধ করেছে।

নিয়ম অনুযায়ী– মারমুখো, অভদ্র ও বিপজ্জনক আচরণের তালিকায় পড়েছে ওই যাত্রীর ব্যবহার। আকাশে থাকা অবস্থায় উড়োজাহাজের দরজা খোলার চেষ্টাও করেছিলেন তিনি।

জেটটু কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অন্য যাত্রীদের সহায়তায় কেবিন ক্রু সদস্যরা ক্লোয়ি হেইন্সকে সামলানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু ফ্লাইটটি ফের লন্ডন স্টানস্টেড বিমানবন্দরে ফিরিয়ে নিতে হয়েছে। এটিকে তখন পাহারা দেয় রয়েল এয়ার ফোর্সের দুটি যুদ্ধবিমান। তারা সাংকেতিক শব্দ পেয়ে তড়িঘড়ি উড়োজাহাজের দু’পাশে হাজির হয়। অবতরণের পর ২৫ বছর বয়সী ওই নারীকে আটক করে এসেক্স পুলিশ।

এক বিবৃতিতে জেটটুর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্টিভ হিপির দাবি, এর আগে আর কোনও যাত্রীর মধ্যে তারা এমন বিরক্তিকর আচরণ দেখেননি। তিনি বলেন, ক্লোয়ি হেইন্সকে এবার তার কৃতকর্মের পরিণতি ভোগ করতে হবে। ফ্লাইট ফিরিয়ে আনার কারণে আমাদের যত খরচ হয়েছে তা পুনরুদ্ধার করতে আমরা জোরালো ভূমিকা রেখে যাবো। সব অসংযত যাত্রীর বেলায় আমাদের এই পদক্ষেপ অব্যাহত থাকবে। পরিবারবান্ধব বিমান সংস্থা হিসেবে বিরক্তিকর আচরণের ক্ষেত্রে আমরা জিরো টলারেন্স নীতিতে চলি। কারণ এসব করে কেউ পার পেয়ে গেলে অন্যদের তাতে উদ্বুদ্ধ হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়।’

সূত্র: সিএনএন ট্রাভেল