উড়োজাহাজে ফরাসি ভাষার সংকেত না থাকায় এয়ার কানাডাকে জরিমানা

এয়ার কানাডার উড়োজাহাজভাষাগত অধিকার লঙ্ঘনের কারণে ফরাসি দম্পতিকে ১৫ হাজার ৭০০ মার্কিন ডলার জরিমানা দেবে এয়ার কানাডা। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ১৩ লাখ ২৬ হাজার ৪৯৩ টাকা। একইসঙ্গে তাদের ক্ষমা চেয়ে চিঠি দিতে বলা হয়েছে কানাডার পতাকাবাহী এই বিমান সংস্থাকে।

ফরাসি ভাষী ওই দম্পতির অভিযোগ, এয়ার কানাডার অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে ব্যবহৃত উড়োজাহাজের বেশিরভাগ সংকেত শুধু ইংরেজি ভাষায় রয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে অটোয়া আদালতের মন্তব্য, বিমান সংস্থাটি কানাডার দ্বিভাষিকতা আইন লঙ্ঘন করেছে।

কানাডার অন্টারিও প্রদেশের ওই দুই বাসিন্দা হলেন মিশেল ও লিন্ডা থিবোডো। এই দম্পতি ২০১৬ সালে এয়ার কানাডার বিরুদ্ধে ২২টি অভিযোগ তোলেন। এর মধ্যে ছিল, সিটবেল্টে ‘লিফট’ লেখাটি শুধু ইংরেজিতে উল্লেখ রয়েছে উড়োজাহাজে। এছাড়া ‘এক্সিট’ ও ওয়ার্নিং’ শব্দগুলোর ফরাসি সংস্করণ আছে ছোট অক্ষরে। ওই দম্পতি আরও উল্লেখ করে, মন্ট্রিল গমনরত ফ্লাইটের বোর্ডিং ঘোষণার ইংরেজি সংস্করণ ছিল যথাযথ। ফরাসি ভাষায় দায়সারা দেখিয়েছেন ঘোষক।

শুনানিতে অটোয়া আদালতের বিচারক জানান, এয়ার কানাডা ভাষাগত নিয়ম বহাল রাখেনি। কানাডা সরকার ইংরেজি ও ফরাসি ভাষার সমান মর্যাদা নিশ্চিতকরণের আইন রেখেছে। আদালতকে এয়ার কানাডা জানায়, তাদের বহরে থাকা উড়োজাহাজের বিভিন্ন সংকেত প্রতিস্থাপনের কাজ শুরু হবে।

কানাডিয়ান সংবাদমাধ্যম সিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মিশেল থিবোডো আদালতের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। আগামী দুই মাসের মধ্যে এয়ার কানাডার ফ্লাইটে ফরাসি ভাষায় সংকেত দেখার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। আইনি দ্বন্দ্ব হলেও এয়ার কানাডাতে নিয়মিত যাতায়াত অব্যাহত রাখবেন বলে জানিয়েছেন থিবোডো।

মিশেল ও লিন্ডা এর আগেও এয়ার কানাডার বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তোলেন। তবে ২০০৯ সালে তাদের বিপক্ষে গিয়েছিল আদালতের রায়। ওইবার তারা উল্লেখ করেন, আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে ফরাসি সংস্কৃতি মেনে সেবা দেয়নি এয়ার কানাডা। ২০০৫, ২০১১ ও ২০১২ সালে আরও তিনবার ফরাসি ভাষা অধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ আনেন এই দম্পতি।

সূত্র: বিবিসি