শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনালে যেসব সুবিধা পাবেন যাত্রীরা

৪৪দেশে প্রতিবছর আট শতাংশ হারে আকাশপথে যাত্রী বাড়ছে। তাই হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তিন তলা বিশিষ্ট তৃতীয় টার্মিনাল ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে যাত্রীদের জন্য থাকবে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা।

এ বছরের শেষ নাগাদ ২ লাখ ৩০ হাজার বর্গমিটার জায়গা জুড়ে টার্মিনালটির নির্মাণ কাজ শুরু হতে পারে। পুরো নির্মাণ প্রক্রিয়া শেষ হতে লাগবে চার বছর। এর নকশা করেছেন স্থপতি রোহানি বাহারিন।

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) সংশ্লিষ্ট সূত্রে পাওয়া নতুন টার্মিনাল ভবনের সুযোগ-সুবিধাগুলো দেখে নিন একঝলকে।

* তৃতীয় টার্মিনালে ২৪টি বোর্ডিং ব্রিজের ব্যবস্থা থাকবে। তবে প্রকল্পের প্রথম ধাপে চালু করা হবে ১২টি বোর্ডিং ব্রিজ।

* বহির্গমনের জন্য রাখা হবে ১১৫টি চেক-ইন কাউন্টার। এর মধ্যে থাকবে ১৫টি সেলফ সার্ভিস চেক-ইন কাউন্টার।

* ১০টি স্বয়ংক্রিয় পাসপোর্ট কন্ট্রোল কাউন্টারসহ ডিপারচার ইমিগ্রেশন কাউন্টার থাকবে ৬৬টি।

* আগমনীর ক্ষেত্রে ৫টি স্বয়ংক্রিয় চেক-ইন কাউন্টারসহ মোট ৫৯টি পাসপোর্ট ও ১৯টি চেক-ইন অ্যারাইভাল কাউন্টার থাকবে।

* টার্মিনালে ১৬টি আগমনী ব্যাগেজ বেল্ট স্থাপন করা হবে। অতিরিক্ত ওজনের ব্যাগেজের জন্য থাকবে চারটি পৃথক বেল্ট।

* তৃতীয় টার্মিনালের সঙ্গে নির্মাণ করা হবে মাল্টিলেভেল কার পার্কিং ভবন। এতে ১ হাজার ৪৪টি গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে।

* ভবনের অভ্যন্তরে দক্ষিণ পাশে সর্বাধুনিক সুবিধাসম্পন্ন ভিভিআইপি স্পেস রাখা হবে।

* ভবনের সঙ্গে ভূ-গর্ভস্থ সুড়ঙ্গ পথ ও উড়াল সেতু নির্মাণ করা হবে। এর মাধ্যমে মেট্রোরেল ও ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সংযোগ থাকবে।

* আন্তর্জাতিক মানের অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা।

* টার্মিনালে আরও থাকবে লাউঞ্জ, বিভিন্ন দ্রব্যসামগ্রী বিক্রির দোকান, রেস্তোরাঁ।