উড়োজাহাজের জানালায় মৌমাছির ঝাঁকের কারণে ফ্লাইট দেরি

এয়ার ইন্ডিয়ার উড়োজাহাজের ককপিটে মৌমাছির ঝাঁকপ্রতিকূল আবহাওয়া, যান্ত্রিক ত্রুটি, উড়োজাহাজের দেরিতে আগমন– ফ্লাইট সাধারণত এসব কারণেই দেরি হয়ে থাকে। এ তালিকায় এবার মৌমাছির ঝাঁকও যুক্ত করতে হবে!

গত ১৫ সেপ্টেম্বর সকালে এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট ৭৪৩ কলকাতা থেকে আগরতলা আসছিল। কিন্তু ককপিটের বাঁ-দিকের জানালায় মৌমাছির ঝাঁক জড়ো হওয়ায় আড়াই ঘণ্টা দেরিতে ছেড়েছে উড়োজাহাজটি। কারণ পাইলটের বাইরে তাকাতে অসুবিধা হচ্ছিল। উইন্ডস্ক্রিন ওয়াইপার দিয়েও মৌমাছির দলকে সরানো যায়নি।

পরে বিমানবন্দর দমকলকর্মীরা জলকামান দিয়ে পানি ছিটানোর পর মৌমাছির ঝাঁক উড়োজাহাজের জানালা থেকে সরে যায়।

এর আগে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ফ্লাইটটির দেড় ঘণ্টা দেরি হয়ে গিয়েছিল। পরে মৌমাছির কারণে আধঘণ্টা আটকে থাকতে হয়েছে আকাশযানটিকে। অথচ কলকাতা থেকে আগরতলা যেতে লাগে মাত্র একঘণ্টা।

নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বিমানবন্দরের পরিচালক কৌশিক ভট্টাচার্য জানান, উড্ডয়নের নির্ধারিত সময়ে পার্কিং বে ছেড়ে গিয়েছিল উড়োজাহাজটি। কিন্তু যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সেটি আবারও ফিরে আসে। এ কারণে দেড় ঘণ্টা দেরি হয়। এরপরই হাজারও মৌমাছির ঝাঁক জড়ো হয় ককপিটের জানালায়। এয়ার ইন্ডিয়ার কর্মীরা আমাদের জানানোর পর বিমানবন্দরের ভেতরে ফায়ার স্টেশন থেকে দমকল বাহিনীকে পাঠানো হয়। তারা জলকামান ব্যবহার করে মৌমাছির দলকে সরিয়ে দিতে পেরেছে।’

এয়ার ইন্ডিয়ার উড়োজাহাজনির্ধারিত সময়ের আড়াই ঘণ্টা পর ফ্লাইটটি কলকাতা থেকে রওনা দেয়। উড়োজাহাজে ছিলেন ১৩৬ জন যাত্রী। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

কৌশিক ভট্টাচার্য আরও জানান, বিমানবন্দরের অভ্যন্তরে মৌমাছি জড়ো হতে পারে এমন কিছু তারা খুঁজে পাননি। তাদের ধারণা, বাইরে থেকে উড়ে এসেছে এগুলো।

কলকাতা বিমানবন্দর ভারতের সবচেয়ে ব্যস্ত বিমানবন্দরগুলোর মধ্যে অন্যতম। বছরে ২ কোটি ১৮ লাখ যাত্রী এটি ব্যবহার করে। ধারণা করা হচ্ছে, ২০২১ সালের মধ্যে এই সংখ্যা ৪ কোটিতে দাঁড়াবে।

ভারতের আধুনিক বিমানবন্দরগুলোর মধ্যেও কলকাতা অন্যতম। এখানে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সোলার প্যানেল ব্যবহার করা হয়।

সূত্র: সিএনএন