বিমানের সিঙ্গাপুর ফ্লাইট শুরু ২৮ অক্টোবর

আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুরে যাত্রী পরিবহন শুরু করতে যাচ্ছে। গত ৪ মে বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুরে যাত্রী পরিবহন বন্ধ হয়ে যায়। তবে সিঙ্গাপুর থেকে যাত্রীরা  বাংলাদেশে আসতে পারতেন।

বুধবার (২৭ অক্টোবর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বিমান। ঢাকা থেকে সিঙ্গাপুর যেতে হলে যাত্রীদেরকে অবশ্যই সিঙ্গাপুর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক দেশটিতে প্রবেশের অনুমতিপত্র গ্রহণ করতে হবে।

বিমান জানিয়েছে, ২৮ অক্টোবর থেকে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত সপ্তাহে প্রতি বৃহস্পতিবার এবং ১৩ নভেম্বর থেকে সপ্তাহে প্রতি শনিবার, মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার ফ্লাইট পরিচালনা করবে বিমান। ঢাকা থেকে স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টায় সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে বিমানের ফ্লাইট ছেড়ে যাবে এবং সিঙ্গাপুর থেকে সেখানকার স্থানীয় সময় বিকাল ৩টা ৫০ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করবে।

যাত্রীরা বিমানের যে কোনও সেলস অফিস এবং অনুমোদিত ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে টিকেট ক্রয় করতে পারবেন। সিঙ্গাপুর যেতে হলে যাত্রীদেরকে অবশ্যই সিঙ্গাপুর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক দেশটিতে প্রবেশের অনুমতিপত্র গ্রহণ করতে হবে।

তাছাড়া, অনুমোদিত কোভিড-১৯ এর টিকার পূর্ণ ডোজ সম্পন্ন করা থাকতে হবে যাত্রীদের। ফাইজার, মডার্না, অ্যাস্ট্রাজেনেকা, সেরামের কোভিশিল্ড, সিনোফার্ম, সিনোভ্যাক টিকার যে কোন একটির ২ ডোজ এবং জনসনের টিকার ক্ষেত্রে ১ ডোজ নেওয়ার কমপক্ষে ১৪ দিন পর থেকে সিঙ্গাপুরে যাওয়া যাবে।

২ বছরের বেশি বয়সী যাত্রীদেরকে ফ্লাইট ছাড়ার পূর্ববর্তী সর্বোচ্চ ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে করোনা পরীক্ষা করাতে হবে এবং নেগেটিভ সনদ থাকতে হবে। সিঙ্গাপুর পৌঁছে ১০ দিন হোটেল কোয়ারেন্টাইন থাকতে হবে। কোয়ারেন্টাইনের তৃতীয় ও সপ্তম দিনে নিজ খরচে অ্যান্টিজেন র‍্যাপিড টেস্ট করাতে হবে এবং ১০ম দিনে নিজ খরচে কোভিড-১৯ পিসিআর পরীক্ষা করাতে হবে। সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য ভ্রমণে গেলে যাত্রীদেরকে চাঙ্গি বিমানবন্দরে করোনা পরীক্ষা করাতে হবে যার জন্য পূর্বেই অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন ও ফি প্রদান করতে হবে। সিঙ্গাপুর যাওয়ার পূর্বে মোবাইলে ‘Trace Together’ অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে।

সিঙ্গাপুর বিমানবন্দরে যাত্রীদেরকে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য বাইরের কোন ব্যক্তি প্রবেশ করতে পারবেন না। সিঙ্গাপুর থেকে বাংলাদেশে আসতে হলে ১২ বছরের বেশি বয়সী যাত্রীদেরকে ফ্লাইট ছাড়ার পূর্ববর্তী সর্বোচ্চ ৭২ ঘণ্টার মধ্যে করোনা পরীক্ষা করাতে হবে এবং নেগেটিভ সনদ থাকতে হবে। করোনা টিকা নেওয়া না থাকলে বাসায় যেয়ে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর করোনার লক্ষণ দেখা গেলে যাত্রীকে সরকার নির্ধারিত হোটেলে নিজ খরচে কোয়ারেন্টাইন থাকতে হবে।