খালাসের পর ১৩ বছর বন্দি জবেদকে কেন ক্ষতিপূরণ নয়: হাইকোর্ট




জবেদ আলীউচ্চ আদালতের খালাসের রায়ের ১৩ বছর পর মুক্তি পাওয়া সাতক্ষীরার জবেদ আলী বিশ্বাসের ‘মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হওয়ায়’ কেন তাকে ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এই রুল জারি করেন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইন সচিব, হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার, সাতক্ষীরার অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত-৩ এর তৎকালীন বিচারক, আইজিপি (প্রিজন) ও সাতক্ষীরার জেল সুপারকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি জবেদ আলীকে কারাবন্দি রাখায় বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা ও অবহেলা কেন সংবিধানের ৩১, ৩২ ও ৩৫ ও ৩৬ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
রিট আবেদনকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল হালিম নিজেই আদালতে শুনানি করেন। তিনি বলেন, নিম্ন আদালত ২০০১ সালে এক মামলায় জবেদ আলীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। পরে তার করা আপিলে ২০০৩ সালে হাইকোর্ট তাকে খালাস দেন।
কিন্তু সাতক্ষীরার তখনকার অতিরিক্ত দায়রা জজ খালাসের আদেশ কারাগারে না পাঠানোয় মুক্তি আটকে থাকে ১৩ বছর। সংবিধানের ৩১, ৩২ ও ৩৫ ও ৩৬ অনুচ্ছেদের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন হয়েছে দাবি করে এই রিট আবেদন করা হয়েছে বলে জানান এই আইনজীবী।

‘খালাসের রায়ের ১৩ বছর পর কারামুক্ত হলেন জবেদ আলী’ শিরোনামে গত ৩ মার্চ একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে চিলড্রেনস চ্যারিটি বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন গত ১৯ মে এই রিট আবেদন করে।

আরও পড়ুন: আপিল বিভাগের রায় মেনে না চললে বিভাগীয় ব্যবস্থা

/ইউআই/এজে