রাজধানীর উত্তরার খাল থেকে ‘উদ্ধার’ হওয়া বিপুল সংখ্যক আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদের উৎস এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও পুলিশের চেকপোস্ট ডিঙিয়ে কিভাবে উত্তরায় একটি নম্বরবিহীন গাড়ি ঢুকলো তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে জিডি করে ঘটনার তদন্ত চলছে। অস্ত্র উদ্ধার অভিযান চলবে আরও কয়েকটি এলাকায়। এরপর একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা করে মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত নেবে পুলিশ।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘এর আগে একই ধরনের অস্ত্র জঙ্গি হামলায় ব্যবহার হয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, এই অস্ত্রের চালানের সঙ্গে আরও অস্ত্র ছিল। তা উদ্ধারে আরও অভিযান চলবে।’
পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, শনিবার বিকালে নম্বরবিহীন একটি পাজেরো গাড়িতে করে উত্তরা ১৬ নম্বর সেক্টরের ষোলহাটি বৌদ্ধ মন্দিরের খালের পাশে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। এরপর সেগুলো উদ্ধার করা হয়। তবে তল্লাশি চৌকির এতো কড়াকড়ি ও পুলিশি টহল থাকলেও কিভাবে নম্বরবিহীন গাড়ি রাজধানীতে ঢুকল তার ব্যাখ্যা দিতে পারেনি পুলিশ।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উত্তরা বিভাগের উপ-কমিশনার বিধান ত্রিপুরা সাংবাদিকদের বলেন, ‘পুলিশ সোর্সের মাধ্যমে অস্ত্রের বিষয়টি জানতে পারে পুলিশ। বেলা তিনটা থেকে সাড়ে তিনটার মধ্যে কালো রঙের একটি পাজেরো গাড়িতে করে এসে কেউ অস্ত্রভর্তি ব্যাগগুলো ফেলে যায়। গাড়িটির কোনও নম্বরপ্লেট ছিল না। খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালায়।’
তুরাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবির মোহাম্মদ হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এই ঘটনায় এখনও কোনও মামলা হয়নি। উদ্ধারকৃত গোলাবারুদ ও অস্ত্রের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। আজকেও অভিযান হয়েছে। তালিকা শেষে মামলা করা হবে।’
তবে পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেছেন, এই ঘটনায় তুরাগ থানায় একটি জিডি হয়েছে। জিডির ভিত্তিতে তদন্ত করা হচ্ছে।
উত্তরা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ম্যানেজার আরিফুজ্জামান শেখ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে অস্ত্র উদ্ধার করছে। ফায়ার সার্ভিসও এ বিষয়ে তদন্ত করবে।’
এদিকে ঘটনাটি এখনও থানা পুলিশ তদন্ত করছে জানিয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) যুগ্ম কমিশনার আব্দুল বাতেন বলেন, ‘উত্তরা বিভাগ তদন্ত করছে। আমাদের কাছে এখনও তা আসেনি।’
আরও পড়তে পারেন: অভিজিৎ হত্যায় সন্দেহভাজন হাদি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত
/এআরআর/এজে/আপ-এমও/