শিশু আইনের অস্পষ্টতা নিয়ে দুই মন্ত্রণালয়ের ব্যাখ্যা তলব





হাইকোর্টশিশু আইনে প্রাপ্তবয়স্ক অপরাধীদের বিষয়ে অস্পষ্টতার ব্যাখ্যা তলব করেছেন হাইকোর্ট। এক সপ্তাহের মধ্যে আইন ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রনালয়কে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। রবিবার বিচারপতি ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি জেবিএম হাসানের ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
উল্লেখ, রবিবার এ সংক্রান্ত একটি মামলা রায়র জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ এ কে এম মনিরুজ্জামান কবির এই ব্যাপারে বলেন, রায় দেওয়ার আগে আইনের এই অস্পষ্টতার বিষয়ে সরকারের বক্তব্য জানা দরকার। এরপরই আদালত দুই সচিবের কাছে ব্যাখ্যা তলব করেন।
২০১৩ সালে শিশু আইনে সর্বশেষ সংশোধনী আনা হয়। এই আইনের অধীনে প্রতিটি জেলায় গঠন করা হয় শিশু আদালত। শিশুকে ধর্ষণ ও ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে সম্প্রতি ঢাকা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও রংপুরে দায়েরকৃত চারটি মামলার আসামিদের জামিন আবেদনের শুনানি করেন শিশু আদালত। কিন্তু শিশু আদালত তাদের জামিন দেননি। পরে আসামিরা হাইকোর্টে এসে জামিন চান। ওই জামিন আবেদনগুলোর শুনানিকালে হাইকোর্ট বলেন, আসামিরা প্রাপ্ত বয়ষ্ক হওয়ার পরেও কেন শিশু আদালতে তাদের জামিন আবেদনের শুনানি করা হয়েছে? পরে এ বিষয়ে রুল জারি করে সংশ্লিষ্ট চার নিম্ন আদালতের বিচারকের ব্যাখ্যাও তলব করা হয়।
ব্যাখ্যায় ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪-এর বিচারক সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, দি চিলড্রেন অ্যাক্ট, ১৯৭৪ এর বিধান অনুযায়ী যে সব মামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি বা ভিকটিম শিশু ওইসব মামলা বিচারের জন্য কিশোর আদালতে পাঠানো হতো। কিন্তু শিশু আইন, ২০১৩ এর ১৭(১) ধারার পরিপ্রেক্ষিতে এই বিষয়ে অস্পষ্টতা দেখা দিয়েছে।
/ইউআই/এমএনএইচ/