উইলস লিটল ফ্লাওয়ারের সেই ছাত্রী মারা গেছে


সুরাইয়া-আক্তার-রিসারাজধানীর কাকরাইলে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে আহত উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের ছাত্রী সুরাইয়া আক্তার রিশা (১৫) মারা গেছে। রবিবার (২৮ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৮টায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।
নিহতের মামা মুন্না ও ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির এসআই বাচ্চু মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তবে এ ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
এদিকে রিশার মৃত্যুর সংবাদ শোনার পরপরই উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানায় ও সড়ক অবরোধ করে রেখেছে। 

রিসার-মৃত্যুর-সংবাদ-শোনার-পর-রাস্তায়-নেমে-প্রতিবাদ-জানাচ্ছে-উইলস-লিটল-ফ্লাওয়ারের-শিক্ষার্থীরা

নিহত রিশা উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। তার বাবা মো. রমজান আলী একজন কেবল ব্যবসায়ী। রাজধানীর বংশালে তারা সপরিবারে বসবাস করে।

প্রসঙ্গত, গত বুধবার (২৪ আগস্ট) বেলা পৌনে ১২টার দিকে রাজধানীর কাকরাইলে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের ছাত্রী সুরাইয়া আক্তার রিশা গুরুতর আহত হয়।  

 



উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল

ঘটনার পরদিন বৃহস্পতিবার এ ঘটনায় স্কুলছাত্রীর মা তানিয়া হোসেন বাদী হয়ে রমনা থানায় একটি মামলাটি দায়ের করেন।

নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ধারায় এবং পেনাল কোডে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ করে ওবায়দুল খান (২৯) নামে এক ব্যক্তিকে মামলায় আসামি করা হয়। আসামি ওবায়দুল ইস্টার্ন মল্লিকা শপিং কমপ্লেক্সের বৈশাখী টেইলার্সের কাটিং মাস্টার।

মামলার বিবরণে জানা যায়, প্রায় ৬ মাস আগে মায়ের সঙ্গে ইস্টার্ন মল্লিকার শপিং কমপ্লেক্সের বৈশাখী টেইলার্সে যায় রিশা। সেখানে একটি ড্রেস সেলাই করতে দেয় সে। পরে দোকানের রিসিটে বাসার ঠিকানা ও তার মায়ের মোবাইল নম্বর দেয়। পরে সেই রিসিট থেকে মোবাইল নম্বর নিয়ে টেইলার্সের কাটিং মাস্টার ওবায়দুল খান ছাত্রীকে ফোনে উত্ত্যক্ত করতো। পরে ফোন নম্বরটি বন্ধ করে দিলে ওই যুবক স্কুলে যাওয়ার পথে ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করতে থাকে। প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় ছাত্রীটিকে ছুরিকাঘাত করা হয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।

পরে ওই টেইলার্সে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে, ওবায়েদ দুই মাস আগে চাকরি ছেড়ে সেখান থেকে চলে গেছেন।

আরও পড়ুন: ‘পরবর্তী টার্গেট জিয়া’
/এআইবি/এআর/