নারী জঙ্গি আস্তানায় যেসব আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া গেছে

এ বাড়িতে ছিল জঙ্গিদের আস্তানাআজিমপুরের নারী জঙ্গি আস্তানা থেকে ৪টি পিস্তল ও ৫০ রাউন্ড পিস্তলের গুলিসহ বেশ কিছু সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে পুলিশ। এছাড়াও আরও কিছু গুরত্বপূর্ণ আলামতও উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অভিযান সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা।

কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপকমিশনার মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, জঙ্গি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে তারা এলাকা ভিত্তিক ভাড়াটিয়াদের তথ্য সংগ্রহ ও সন্দেহভাজনদের সন্ধানে ছিলেন। রাজধানীর আজিমপুরের বিজিবি সদর দফতরের ২ নম্বর গেট সংলগ্ন ২০৯/৫ নম্বরের হাজী কায়সারের বাড়িতে যান তারা।

ছানোয়ার জানান, ওই বাড়ির নিচে গিয়ে তারা বাড়িওয়ালা কোনতলায় থাকেন জানতে চাইলে কয়েকজন বলেন, দ্বিতীয়তলায়। সেই কারণেই তারা ওই বাড়ির দ্বিতীয়তলায় গিয়ে দরজার কড়া নাড়েন। এ সময় এক নারী দরজা খুললে পুলিশ সদস্যরা জানতে চানম বাড়িওয়ালা কোনতলায় থাকেন। এ সময় তারা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ‘দাঁড়ান’ বলে ভেতরে চলে যায়। এর কয়েক মুহূর্ত পরেই তারা হঠাৎ পুলিশ সদস্যদের চোখে-মুখে মরিচের গুঁড়া ছুড়ে মারেন এবং ছুরিকাঘাত করেন।

সে সময়ের অবস্থা বর্ণনা করে অতিরিক্ত উপকমিশনার মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন বলেন, মরিচের গুঁড়া চোখে-মুখে পড়ায় হতবিহ্বল হয়ে পুলিশ সদস্যরা দৌড়ে নিচে নামেন। এ সময় তাদের চিৎকারে অন্য পুলিশ সদস্যরা এগিয়ে এলে নারী জঙ্গিরা তাদের ওপরও ছুরি নিয়ে হামলা চালায়। এ পর্যায়ে জঙ্গি করিম তাদের ওপর বোমা ছুড়ে মারে। পুলিশ পাল্টা গুলি ছুড়লে করিম গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়।

আজিমপুর অভিযানের মূল নেতৃত্বদানকারী এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, নারী জঙ্গিরা আত্মঘাতী দলের সদস্য। তারা যখন পুলিশের হাতে ধরা পড়ার বিষয়ে নিশ্চিত হয় তখন তারা কাচ ভেঙে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছে। সে কারণে তারা আহত হয়েছে। ভেতরে অনেক কাচ ভাঙা পাওয়া গেছে।

এছাড়াও ওই বাসা থেকে ৪টি পিস্তল, ৫০ রাউন্ড গুলি, চারটি ল্যাপটপ ও প্রায় তিন লাখ টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় কিছু বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয় সেখান থেকে।

এনএল/জেইউ/এবি/