আদালতে তিন নারী জঙ্গির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি





আজিমপুর জঙ্গি আস্তানা থেকে গ্রেফতার তিন নারী জঙ্গিস্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার পর রাজধানীর আজিমপুরের জঙ্গি আস্তানা থেকে গ্রেফতার হওয়া তিন নারীকে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন আদালত। সোমবার বিকালে ঢাকার সিএমএম আদালতে তিন নারীকে হাজির করে তাদের জবানবন্দি নেওয়ার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের এসি আহসানুল হক। আদালত জবানবন্দি গ্রহণ করে তিন নারী জঙ্গিকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
অপরাধ তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার মিরাশ উদ্দিন বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, ‘সাত দিনের রিমান্ড শেষে সোমবার বিকালে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) আহসানুল হক তিন নারী জঙ্গিকে সিএমএম আদালতে হাজির করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেওয়ার আবেদন জানান। তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম মাহমুদুল হাসানের আদালতে জঙ্গি নুরুল ইসলাম মারজানের স্ত্রী আরেফিন প্রিয়তি, মহানগর হাকিম নূর নবীর আদালতে তানভীর কাদেরী ওরফে আবদুল করিমের স্ত্রী আবেদাতুল ফাতেমা ওরফে খাদিজা ও মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরীর আদালতে বাশারুজ্জামান ওরফে রাহুল ওরফে চকলেটের স্ত্রী শায়লা আফরিন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। এর আগে তানভীর কাদেরির ১৪ বছরের ছেলেও স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছিল।’
গত ৯ অক্টোবর ঢাকা মহানগর হাকিম নূর নবীর আদালতে হাজির করে তিন নারী জঙ্গির প্রত্যেকের ১০ দিন করে রিমান্ড চান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসি আহসানুল হক। শুনানি শেষে আদালত সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ১১ সেপ্টেম্বর আজিমপুরের জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালায় পুলিশ। পুলিশের অভিযানের সময় আত্মহত্যা করেন জঙ্গি তানভীর কাদেরি ওরফে আবদুল করিম। ওই তার স্ত্রীসহ তিন নারী জঙ্গিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। উদ্ধার করা হয় জঙ্গি মেজর জাহিদের কন্যা সন্তান ও তাভীর কাদেরের কিশোর ছেলেকে।
/এসআইটি/জেইউ/এমএনএইচ/