অজ্ঞানপার্টির কবলে পড়ে সাত জন হাসপাতালে

অজ্ঞান পার্টিরাজধানীর বিভিন্নস্থানে অজ্ঞানপার্টির কবলে পড়ে আহত ও সর্বশান্ত হয়েছেন সাত জন। সোমবার দুপুর ও সন্ধ্যায় পৃথক এই সাতটি ঘটনা ঘটে।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) পুলিশ ফাঁড়ির এসআই বাচ্চু মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আনিসুর রহমান (২৫), আব্দুল মান্নান (৬০), আবুল কালাম (৩০), শওকত আলী (৪০), ফজলুল আজিম (৫০),  মুজিবর (৪৫) ও আমানুল্লাহ (৫০ )নামে সাত জন।
অজ্ঞানপার্টির কবলে পড়া আনিসুর হাসপাতালে আহতাবস্থায় জানায়, ব্রাক্ষ্ণণবাড়িয়া থেকে ঢাকায় এসে রিকশায় তিনি গুলশানে যাচ্ছিলেন। এসময় রিকশাওয়ালা জানায় সারাদিন সে কিছু খায়নি। তাই আনিসুর রিকশাওয়ালাকে খাবার আনতে বলেন। রিকশাওয়ালা পাশের দোকান থেকে জুস, কেক ও পান নিয়ে আসে। সে সময় জুস খেয়ে আনিসুর অচেতন হয়ে পড়েন।
পরে তার বাবা তাকে বিকাল ৩টায় তাকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তার কাছে থেকে অজ্ঞানপার্টির সদস্যরা একটি মোবাইল সেট ও ৩ হাজার টাকা নিয়ে গেছে। আনিসুর প্রবাসী তার বাবা কমলাপুর স্টেশনের চাকরী করেন।

বাংলামোটর থেকে উদ্ধার হন আব্দুল মান্নান (৬০)। তার বাসা রায়েরবাগ কদমতলী। লাব্বাইক পরিবহেনের একটি বাস থেকে তাকে উদ্ধার করে দুপুর দেড়টার দিকে তাকে স্থানীয়রা ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসে। তার সঙ্গে কোনও টাকা ও সরঞ্জাম পাওয়া যায়নি।

অপরদিকে গুলিস্তান আহাদ পুলিশ বক্সের সামনে থেকে আবুল কালাম (৩০) নামে এক কাপড় ব্যবসায়ী অচেতন অবস্থায় পাওয়া গেছে। তার বাড়ি মুন্সীগঞ্জে। শাহাবুদ্দিন নামে এক আত্মীয় তাকে উদ্ধার করে দুপুর ২টার দিকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসে। তার সঙ্গে কিছুই পাওয়া যায়নি।

মিরপুরের টেকনিক্যাল মোড়ে পিকঅ্যাপ চালক শওকত আলী (৪০) সাভার থেকে ইতিহাস পরিবহনে করে ঢাকায় আসছিলেন। এসময় তাকে বাসে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তার ভাগিনা জোনায়েদ খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে বিকাল ৩টায় ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসে। তার কাছে কোনও সরঞ্জাম পাওয়া যায়নি।

ক্রিয়া পরিষদের প্রকৌশলী ফজলুল আজিম (৫০) অফিস থেকে বাসায় আসছিলেন।  এসময় নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার মৌচাক নামক এলাকায় তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। পরে তার ভাতিজা মনি  সেখান থেকে তাকে  উদ্ধার করে রাত সোয়া ৭টায় ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। 

মাওয়া এলাকা থেকে মুজিবর (৪৫) এক ব্যবসায়ী সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।

সর্বশেষ আমানুল্লাহ নামে এক ব্যবসায়ীকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বাড্ডার বোদ্ধ মন্দির এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়। তার ভাই আতাউর রহমান তাকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসে। তার সঙ্গে থাকা ২০ হাজার টাকা অজ্ঞানপার্টির সদস্যরা নিয়ে যায়।
আহত সাত জনকেই ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে তাদের অবস্থা গুরুতর নয় বলে জানিয়েছে চিকিৎসকরা।

/এআইবি/এনএস/এআর/আপ-এনএস/