মেয়ের বাবার দাবি হত্যা হলেও মামলা আত্মহত্যা প্ররোচনার

ময়না ও তার স্বামী নাঈমরাজধানীর আদাবরে গৃহবধূ ময়নার মৃত্যুর ঘটনায় আত্মহত্যা প্ররোচনার দায়ে স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা হলেও ময়নার বাবা সিরাজ পাটোয়ারী দাবি করছেন তার মেয়েকে শ্বাশুড়ি ও জামাই মিলে হত্যা করছে। হত্যার পর ফাঁস দিয়ে সাজানো নাটক করছে বলেও অভিযোগ তার। শুক্রবার বিকালে বাংলা ট্রিবিউনের সঙ্গে আলাপকালে ময়নার বাবা এসব অভিযোগ করেন।
আদাবর থানায় মৃত্যু প্ররোচনায় মামলা হলেও সেটা তিনি নিজে করেননি বলেও জানান ময়নার বাবা। তবে শুধুমাত্র কিছু লেখা একটি কাগজে না পড়েই স্বাক্ষর দিয়েছিলেন বলে স্বীকার করেন তিনি। ওই প্ররোচনার মামলাতেই ময়নার স্বামী নাঈমকে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
ময়নার বাবা জানান, মেয়ে ময়না তার স্বামী নাঈম ও শাশুড়ি রিনা বেগমকে নিয়ে থাকতেন আদাবরের শনির বিল এলাকার একটি বাসার দুইতলায়। গত ২৪ অক্টোবর দুপুরে মেয়ের শ্বাশুড়ি ফোন করে জানান মেয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে মারা গেছে। খবর পেয়ে মোহাম্মদপুরের নবীনগর থেকে মেয়ের বাসার সামনে গিয়ে মেয়ের লাশ দেখতে পান রাস্তার ওপর। মেয়ের লাশ দেখে অজ্ঞান হয়ে যান তিনি। এরপর জ্ঞান ফিরলে দেখেন থানায়। এসময় তার কাছ থেকে একটি কাগজে স্বাক্ষর নেওয়া হয়। এরপর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। পরদিন মঙ্গলবার থানা পুলিশের মাধ্যমে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

নিহত ময়নার বাবা দাবি করেন, মেয়েকে শ্বাশুড়ি ও স্বামী নাঈম পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। আমার মেয়ের সঙ্গে সকালে কথা হয়েছে। আর দুপুরেই ফাঁস দিয়ে মরে গেছে। এমনটি হতে পারে না। শাশুড়ি ও স্বামীই আমার মেয়েকে মেরে নাটক সাঁজিয়েছে। আমি এর বিচার চাই।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদাবর থানার এসআই সিদ্দিক জানান, খবর পেয়ে লাশ সিঁড়ি থেকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। ময়নার বাম হাতে ও গলায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এঘটনায় ময়না স্বামীকে মৃত্যু প্ররোচনার মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠালে তাকে জেলে পাঠানো হয়।

প্ররোচনা না হত্যার মামলা এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ময়নার বাবা মৃত্যুর প্ররোচনার দায়ে জামাই নাঈমের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। ময়নাতদন্ত হয়েছে কিন্তু রিপোর্ট এখন হাতে আসে নি। রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না।’

/আরজে/এমও/