দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, জহুরুল হক সড়ক ও জনপথ বিভাগের সহকারী আইন কর্মকর্তা।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, মিরপুরের বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা মো. সালাহউদ্দিনের বাসা উচ্ছেদের নোটিশ নিয়ে গত ২৪ অক্টোবর সহকারী আইন কর্মকর্তা মো. জহুরুল হকের নেতৃত্বে ৩০-৩৫ জন কর্মকর্তা আসেন। মালামাল তাৎক্ষণিকভাবে বের করে নিতে নির্দেশ দেন তারা।
জহুরুল হক পরবর্তীতে সালাউদ্দিনকে জানান, তাদের ‘খরচ’ দেওয়া হলে সব ঠিক করে দিবেন। এরপর ৩ নভেম্বর জহুরুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে তিনি বলেন, তাদের কর্মকর্তা বলেছেন দুই লাখ টাকা নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে সেখানে থাকতে দেওয়া হবে। কর্মকর্তাকে বুঝিয়ে ৪৫ হাজার টাকা দিলে জহুরুল হক বাসাটি উচ্ছেদ না করার ব্যবস্থা করে দেবেন।
বুধবার দুপুরে ঘুষের প্রথম কিস্তি বাবদ ১৫ হাজার টাকা দেওয়ার কথা ছিল।
ঘুষ চাওয়ার বিষয়টি দুর্নীতি দমন কমিশনকে জানানো হলে সংশ্লিষ্টকে আটকের জন্য আট সদস্যের একটি বিশেষ দল গঠন করা হয়। দুদকের দলটি তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকার বেনিয়ান শেড ফুড কোর্টে অবস্থান নেয়। সালাউদ্দিনের কাছ থেকে ঘুষ বাবদ ১৫ হাজার টাকা নেওয়ার সময় জহিরুল হককে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়।
দুদকের সহকারী পরিচালক মো: মনিরুল হক বাদী হয়ে এ বিষয়ে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
/আরজে/এইচকে/