ওসি বলেন, ‘আসামি পালিয়েছে। তাকে গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।’
এদিকে আসামি রুবেল পালানোর ঘটনায় বাড্ডা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইমরানুল হাসান, কনস্টেবল দীপক চন্দ্র পোদ্দারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ডিএমপির গণমাধ্যম শাখার অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) ইউসুফ আলী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ঘটনার পরপরই তাদের দায়িত্বে অবহেলার কারণে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বর্তমানে আদালত এলাকায় গুলশান জোনের উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা রয়েছেন। তারা বিষয়টি দেখছেন।’
এর আগে শুক্রবার রাতে বিমানবন্দর এলাকা থেকে তাকে গ্রফতার করে র্যাব-১। এ বিষয়ে শনিবার (১২ নভেম্বর) কাওরান বাজারে অবস্থিত র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তুহিন মো. মাসুদ বলেন, ‘ঘটনার দিন ওই গারো তরুণী তার হবু স্বামী রিপন ম্রংয়ের সঙ্গে দেখা করতে বাড্ডার একটি মেসে যায়। এ সময় মেসের ম্যানেজার হানিফ তরুণীকে দেখে। সঙ্গে-সঙ্গে মেসের নাজমুল, সালাউদ্দিন, জয়নালকে ডেকে বিষয়টি জানায় হানিফ। মেসে নারী নিয়ে আসায় তারা তরুণীর উপস্থিতিতেই রিপনকে বাসা ছেড়ে দিতে বলে। এরইমধ্যে সালাউদ্দিন স্থানীয় বখাটে রুবেলকে ফোন করে ডেকে আনে। এ সময় তারা ওই তরুণী ও রিপনের কাছ থেকে ১৭ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। এরপর পাশের একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় তাকে সহযোগিতা করে আলামিন ও সালাউদ্দিন।
রুবেলের নামে বিভিন্ন এলাকায় ৯টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটিতে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি রয়েছে তার নামে। রুবেলের বিরুদ্ধে ভয় দেখিয়ে ও জোর করে টাকা আদায় ও ধর্ষণের এমন অনেক অভিযোগ রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৫ অক্টোবর গারো তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: গারো তরুণী ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার
আরজে/এআরআর/এমএনএইচ/