অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে পুলিশ সদস্যসহ ৬ জন ঢামেকে ভর্তি

অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে পুলিশ সদস্যসহ ৬ জন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। সোমবার রাজধানী ঢাকাসহ আশেপাশের বিভিন্ন এলাকায় এসব ঘটনা ঘটে। পুলিশ, স্থানীয় লোকজন ও স্বজনেরা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই বাচ্চু মিয়া এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়া সিএনজি চালক মতিউরএদিন অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে প্রথম ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোশাররফ হোসেন (৩২)। তিনি গণভবণের স্পেশাল ব্রাঞ্চে (এসবি) কর্মরত। তার বাড়ি পশ্চিম আগাঁরগাওয়ে। দুপুরে মৌচাকে অচেতন অবস্থায় তাকে পাওয়া যায়। পরে দুপুর আড়াইটায় পথচারী সজীব এই পুলিশ সদস্যকে উদ্ধার করে ঢামেকে ভর্তি করেন।

এরপর, রাজবাড়ী থেকে ঢাকায় আসার পথে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়েন দুই ব্যবসায়ী লিটন (৩১) ও নজরুল (৩২)। অজ্ঞান অবস্থায় গাবতলীর মাজার রোড থেকে স্বজনরা তাদের উদ্ধার করে বিকাল সাড়ে ৫টায় ঢামেকে ভর্তি করেন। স্বজনরা বলেন, ‘তারা ব্যবসার কাজে ঢাকা এসেছিলেন। লোকজন ফোন দিয়ে আমাদেরকে ঘটনা জানালে আমরা এসে তাদের উদ্ধার করি। তাদের সবর্স্ব খোয়া গেছে।’

সন্ধ্যায় মাদারীপুর থেকে ঢাকা আসার পথে কেরাণীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় মিজানুর রহমান (২৫) নামে আরও একজন অজ্ঞান পার্টির শিকার হন। তার ভাই আমিনুল তাকে উদ্ধার করে সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় ঢামেকে ভর্তি করেন।

এদিকে, গাবতলী-সদরঘাট রুটে চলাচল করা সাত নম্বরের একটি বাস থেকে কলাবাগান পুলিশ ফাঁড়ির সামনে এক ব্যক্তিকে অচেতন অবস্থায় ফেলে রেখে যায় বাসের লোকজন। পরে কলাবাগান পুলিশ বক্সে থাকা উপ পরিদর্শক (এসআই) রায়হান তাকে উদ্ধার করে রাত সাড়ে ৯টায় ঢামেকে ভর্তি করেন। ওই ব্যক্তির (৩৭) পরিচয় পাওয়া যায়নি।

এছাড়া, রামপুরা থানা এলাকার টিভি অ্যাভিনিউয়ের রোড নম্বর ১০ এর মাথা থেকে সিএনজি চালক মতিউরকে (৩৫) পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। পরে রামপুরা থানার সহকারী উপ পরিদর্শক (এএসআই) মান্নান তাকে উদ্ধার রাত পৌনে দশটায় ঢামেকে ভর্তি করেন।

/এআইবি/এমও/