নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা তদন্তে পুলিশ আন্তরিক: আইজিপি

এসওপি’র মোড়ক উন্মোচনে বক্তব্য রাখছেন আইজিপিনারী ও শিশু নির্যাতন মামলা তদন্তে পুলিশের আন্তরিকতার কোনও অভাব নেই। পেশাদারিত্বের সঙ্গে, যথেষ্ট আন্তরিকতা নিয়ে পুলিশ এসব মামলার তদন্ত করে থাকে। এজন্য দেশের বিভিন্ন থানায় নারীবান্ধব হেল্প ডেস্কও চালু করা হয়েছে। আজ বুধবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে পুলিশ সদর দফতরের সম্মেলনকক্ষে জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) সহায়তায় জেন্ডারভিত্তিক নির্যাতন রোধে বাংলাদেশ পুলিশের জন্য প্রণীত স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউরসের (এসওপি) মোড়ক উম্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে আইজিপি বলেন, ‘জেন্ডারভিত্তিক নির্যাতন মামলা তদন্ত ও প্রতিরোধে প্রণীত এসওপি তদন্তকারী কর্মকর্তাদের জন্য সহায়ক হবে। এটি অনুসরণের মাধ্যমে নির্যাতিত নারী ও শিশুকে সবচেয়ে ভালো সেবা দেওয়া যাবে।’ নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা তদন্তে এসওপি অনুসরণের জন্য তিনি তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তাদের অনুরোধ জানান।
আইজিপি আরও বলেন, ‘নারীর প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে। পুলিশ ছাড়াও সমাজের সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে নির্যাতিত নারী ও শিশুর সহযোগিতায় এগিয়ে আসতে হবে।’
অনুষ্ঠানে বক্তারা বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ও ইউএনএফপিএ’র এক রিপোর্ট উদ্বৃত করে বলেন, ৭০ ভাগ বিবাহিত নারী কোনও না কোনও ধরনের নির্যাতনের শিকার। অথচ এসব নির্যাতনের মাত্র ২ দশমিক ৬ ভাগ ঘটনায় মামলা হয়ে থাকে। তারা বলেন, নির্যাতিত নারীদের নীরবতা এবং ক্ষমার মানসিকতার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
পুলিশ সদর দফতরের জনসংযোগ কর্মকর্তা এ কে এম কামরুল আহছান জানান, ইউএনএফপিএ’র সহযোগিতায় বর্তমানে ১৫টি থানায় নারীবান্ধব ডেস্ক চালু রয়েছে। এসব ডেস্কে প্রশিক্ষিত নারী পুলিশ কর্মকর্তারা নির্যাতিত নারী ও শিশুদের সহায়তা দিয়ে থাকেন। বর্তমানে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি), কক্সবাজার, পটুয়াখালী, সিলেট এবং জামালপুর জেলার ৪৪টি থানায় ইউএনএফপিএ’র প্রোটেকশন অ্যান্ড এমপাওয়ারমেন্ট অব উইমেন রাইটস (পিইডব্লিউআর) প্রকল্পের কার্যক্রম চালু আছে।
অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত আইজিপি ফাতেমা বেগম, অতিরিক্ত আইজিপি মো. মইনুর রহমান চৌধুরী, ডিআইজি (প্রশাসন) বিনয় কৃষ্ণ বালা, ডিআইজি (ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট) মো. হুমায়ুন কবির, অতিরিক্ত ডিআইজি মো. জহিরুল ইসলাম ভূইয়া ও ড. এ এফ এম মাসুম রব্বানীসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা, ইউএনএফপিএ’র অফিসার ইনচার্জ আইওরি কাতো, ইউএনউইমেন, আইএলও, অ্যাকশন এইড, প্লান বাংলাদেশ, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, আইন ও সালিশ কেন্দ্র এবং বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

/জেইউ/টিআর