মুফতি হান্নানের মৃত্যু পরোয়ানা কারাগারে

মুফতি হান্নানসাবেক বৃটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর হামলা মামলায় হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি হান্নানের মৃত্যু পরোয়ানা কারাগারে পৌঁছেছে। সোমবার সন্ধ্যায় মুফতি হান্নানসহ তিন জঙ্গির মৃত্যু পরোয়ানা কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে পৌঁছায়।
কারা অধিদফতরের ঢাকা বিভাগের ডিআইজি (প্রিজন্স) তৌহিদুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মুফতি হান্নানসহ তিন জঙ্গির মৃত্যু পরোয়ানা আমরা হাতে পেয়েছি। পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়াগুলো শেষ করে তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে।
সংশ্লিষ্টরা জানান,বাংলাদেশে নিযুক্ত সাবেক বৃটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলাসহ তিনজনকে হত্যার দায়ে গত ৭ ডিসেম্বর মুফতি আবদুল হান্নানসহ তিন জঙ্গির মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রাখেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বিভাগ ওইদিন তাদের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রায় দেন। মুফতি হান্নান ছাড়া মৃত্যুদণ্ড পাওয়া অপর দুই আসামি হলেন- হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামী বাংলাদেশের (হুজি-বি) সদস্য শরীফ শাহেদুল আলম ওরফে বিপুল এবং দেলোয়ার হোসেন ওরফে রিপন।
২০০৪ সালের ২১ মে সিলেটে হজরত শাহজালাল (রহ.) এর মাজারে গ্রেনেড হামলায় আনোয়ার চৌধুরী সহ অনেকে আহত হন। নিহত হন পুলিশের দুই কর্মকর্তাসহ তিনজন।

পরে পুলিশ বাদী হয়ে সিলেট কোতয়ালি থানায় অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে। ২০০৭ সালের ৩১ জুলাই মুফতি হান্নানসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেওয়া হয়। পরবর্তীতে সম্পূরক চার্জশিটে আরেক জঙ্গি মঈন উদ্দিন ওরফে আবু জান্দালের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর বিচারিক আদালত মুফতি হান্নান, শরীফ শাহেদুল আলম ওরফে বিপুল ও দেলোয়ার হোসেন ওরফে রিপনকে মৃত্যুদণ্ড এবং মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমান ওরফে মফিজ ও মুফতি মঈন উদ্দিন ওরফে আবু জান্দালকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।

/জেইউ/এএআর/আপ-এমও/