বর্ধিত ভূমি উন্নয়ন করের ওপর হাইকোর্টের এক বছরের নিষেধাজ্ঞা

হাইকোর্টআগামী একবছরের জন্য সারাদেশে বর্ধিত ভূমি উন্নয়ন করের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ’র হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নিষেধাজ্ঞা দেন। বরিশালের বর্ধিত ভূমি উন্নয়ন কর প্রত্যাহার বিষয়ক কমিটির আহ্বায়ক দেওয়ান আব্দুর রশিদের এক সম্পূরক আবেদনের শুনানি শেষে এ আদেশ দেওয়া হয়।
আদালতে আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস। জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, ‘সরকার ২০১৫ সালের ৩০ জুন থেকে ভূমি উন্নয়ন কর বাড়ায়। কোনও কোনও ক্ষেত্রে তা সাতগুণ পর্যন্ত কর বাড়ানো হয়েছে। এটি সাধারণ কৃষকদের জন্য ভয়ানক।’
এর আগে এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে গত বছরের ২২ আগস্ট এ বিষয়ে রুল জারি করেন বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি জেএন দেব চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ। রুলে কর বাড়ানো ও কমানো সংক্রান্ত সরকারের ক্ষমতা বিষয়ক ভূমি উন্নয়ন কর অধ্যাদেশ-১৯৭৬ এর একটি ধারা কেন বাতিল করা হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়।
আদেশের পর জ্যোর্তিময় বড়ুয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভূমি উন্নয়ন কর অধ্যাদেশ-১৯৭৬ এর ৩ ধারার (১) (এ) তে বলা হয়েছে, সরকার অফিসিয়াল গেজেট প্রকাশের মাধ্যমে ভূমি উন্নয়ন কর পুর্নবিবেচনা, বর্ধিত কিংবা হ্রাস করতে পারবে। কিন্তু সংবিধানের ৮৩ অনুচ্ছেদ অনুসারে সংসদের আইন বা কর্তৃত্ব ছাড়া কোনও কর আরোপ করা যাবে না। অথচ ২০১৫ সালের ৩০ জুন ভূমি উন্নয়ন কর অধ্যাদেশ-১৯৭৬ এর ৩ ধারার (১) (এ) অনুসারে ভূমি উন্নয়ন কর বাড়িয়ে গেজেট জারি করা হয়। কর হ্রাস-বৃদ্ধিতে সরকারের এ ক্ষমতা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।’

/এমটি/ইউআই/এমও/