‘মানব পাচারের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত’

‘নিরাপদ অভিবাসন এবং মানবপাচার প্রতিরোধ’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা
মানব পাচারকারীর জন্য দেশের বর্তমান আইনে যে শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে, তা যথেষ্ট নয় বলে মন্তব্য করেছেন র‌্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ। তিনি বলেন, ‘মানব পাচার বন্ধে অপরাধীদের শাস্তি ১২ বছর জেল যথেষ্ট নয়, তাদের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত।’ শনিবার দুপুরে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ‘নিরাপদ অভিবাসন এবং মানবপাচার প্রতিরোধ’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। 

জনশক্তি রফতানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিজ (বায়রা) ও র‌্যাব ফের্সেস যৌথভাবে সেমিনারটি আয়োজন করে।

নতুন করে আরও ৪০টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র করা হচ্ছে উল্লেখ করে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে যারা বিদেশে যাবেন, তাদের দক্ষ হয়ে যেতে হবে।’
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘মানব পাচারকারীরা দেশের শত্রু। তাদের প্রতিরোধে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের একজন নারী বিদেশে গিয়ে নির্যাতিত হবেন, এটা কোনোভাবেই মানা যায় না। এসব বন্ধে আমাদের কাজ করতে হবে।’

র‌্যাবের ডিজি বলেন, ‘দেশের এক শ্রেণির অসাধু দালাল চক্র স্বল্প আয়ের মানুষদের টার্গেট করে বিদেশে পাচার করছে। এর সঙ্গে আর্ন্তজাতিক মানব পাচার চক্র জড়িত। পাচারের শিকার সাধারণ মানুষকে তারা পৃথিবীর বিভিন্ন বন-জঙ্গলে জিম্মি করে রাখে। পাচারের শিকার মানুষ মানবেতর জীবন যাপন করছে। তাদের অনেকেই নির্যাতিত হয়ে মৃত্যুর মুখে পতিত হচ্ছে।’ তিনি বলেন. ‘এ চক্রটি প্রতারণার ফাঁদে ফেলে অনেক নারীকেও বিদেশে পাচার করছে, তাদের পতিতাবৃত্তি করতে বাধ্য করছে। আমাদের দেশের অনেক নিরীহ মানুষ নিজের জায়গা জমি বিক্রিকরে বিদেশ যায়। সেখানে গিয়েও তারা নির্যাতনের শিকার হয়। এমনকি অনেকে মৃত্যুর মুখে পতিত হয়। একারণে মানব পাচারকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি হওয়া উচিত।’

সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নূরুল ইসলাম বিএসসি, বিশেষ অতিথি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, বায়রার সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য বেনজির আহমদ ও বিভিন্ন রিক্রুটিং এজেন্সিজ মালিকরা উপস্থিত ছিলেন ।

/এআরআর/ইউআই  / এমএনএইচ/