সিলেটে শিববাড়ির জঙ্গি আস্তানাটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছিল উল্লেখ করে ফখরুল আহসান বলেন, ‘কখনোই পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়নি।’
কমান্ডোদের কোনও ক্ষয়-ক্ষতি হয়নি উল্লেখ করে এই সেনা-কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, ‘জঙ্গিরা এক্সপ্লোসিভ ফাটিয়েছে, গ্রেনেড চার্জ করেছে, স্মল আর্মস ব্যবহার করেছে। তাদের যা ছিল সব ব্যবহার করেছে।’
নিহত চারজন ভালো প্রশিক্ষিত বলে উল্লেখ করে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফখরুল আহসান আরও বলেন, ‘জঙ্গিদের খুঁজে বের করে মারা হয়েছে। এটা কিন্তু বিশেষ করে সেনাবাহিনীর জন্য একটা বড় সফলতা বলে মনে করি। আমাদের অভিযান এখনও চলমান, আরও হয়তো কিছু সময় লাগতে পারে।’
নিহতদের মধ্যে শীর্ষ কোনও জঙ্গি আছে কিনা, জানতে চাইলে বলেন, ‘এটা নিশ্চিত করে বলতে পারছি না। সেটা র্যাব বা পুলিশ নিশ্চিত করতে পারবে। আমরা ভেতর থেকে ডেড বডি নিয়ে এসেছি। আস্তানা থেকে তারা কেউ বের হতে পারেনি। অপারেশন প্রক্রিয়ার মধ্যেই তারা নিহত হয়েছে। তবে, তারা কখন নিহতে হয়েছে, সুনির্দিষ্টভাবে তার সময় বলা যাচ্ছে না।’
উল্লেখ্য, সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানাধীন শিববাড়ি এলাকায় আতিয়া মহল নামে পাঁচতলা একটি বাড়ির নিচতলায় জঙ্গিরা অবস্থান করছে বলে জানতে পারে পুলিশ। শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে আতিয়া মহল বাড়ির ভেতর থেকে বাইরের দিকে গ্রেনেড ছোড়া হয়েছে বলেও জানান স্থানীয়রা। এরপর ‘আতিয়া মহল’ঘিরে রাখে পুলিশ। জঙ্গি আস্তানায় অভিযান পরিচালনার জন্য শুক্রবার বিকেলে সোয়াত টিম ও রাত সাড়ে ৭টার দিকে সেনাবাহিনীর প্যারা-কমান্ডো বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। শনিবার ভোরে আতিয়া মহলে অভিযান শুরু করে সেনাবাহিনীর প্যারা-কমান্ডো বাহিনী।
ইউআই /এমএনএইচ/