‘নাসিরপুরে নিহতরা সবাই নব্য জেএমবির সদস্য’

 

নাসিরপুরের এই বাড়িতে রয়েছে জঙ্গি আস্তানা, বুধবার রাতের ছবি মৌলভীবাজারের নাসিরপুরের জঙ্গি আস্তানায় নিহতরা সবাই নব্য জেএমবির সদস্য বলে জানিয়েছেন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম। তিনি জানান, ‘অভিযান শেষে এই আস্তানায় ৭ থেক ৮টি মৃতদেহ রয়েছে।’ বুধবার সকাল থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত অভিযান শেষে বৃহস্পতিবার বিকেলে সিটিটিসি আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংকালে তিনি এসব তথ্য জানান।

সোয়াট টিম এ অভিযান পরিচালনা করে বলে জানান ইউনিটের  প্রধান মনিরুল ইসলাম।তিনি বলেন, ‘আমরা সূত্র ধরে অনুসন্ধান করছিলাম। নব্য জেএমবি সদস্যরাই আত্মগোপন করেছিল। এই ঘাঁটিটি সম্পর্কে আমাদের কোনও ধারণাই ছিল না। যে বাড়িটিকে কেন্দ্র করে আমরা কাজ করেছি, সেটি ঘেরাও করে রাখা আছে। এখনও সেখানে অভিযান শুরু হয়নি। এ মুহূর্তে এ অঞ্চলে আর কোনও আস্তানার তথ্য আমাদের কাছে নেই। জঙ্গিরা স্থানীয় নয়, তারা কারও সঙ্গে মিশতো না। কেউ তাদের চেনেন না। সারাদিন বাসায় থাকতো, চাকরি করতো না, বাচ্চারাও স্কুলে যায়নি, কেউ দেখেনি।’

মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘সোয়াট প্রথম অভিযান শুরু করলে পালানোর পথ নেই দেখে সম্ভবত সপরিবারে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আত্মহনন করেছে। সে এক বীভৎস চিত্র। ধারণা করা হচ্ছে, সেখানে সাত আটটি ডেড বডি থাকতে পারে। ঢাকা থেকে ড্রোন এনে ছবি তুলে প্রবেশদ্বারসহ স্ট্র্যাটেজি পয়েন্টে যে বোমা গ্রেনেড ছিল, তার ছবি তুলে নিষ্ক্রিয় করা সম্ভব হয়েছে। সীতাকুণ্ডে অভিযানে যে ধরনের আইডি পাওয়া গিয়েছিল, এখানকার আইডিও সে ধরনের। বিমানবন্দরে অবিস্ফোরিত যে বোমা পাওয়া গিয়েছিল, সেটার সঙ্গেও এটার মিল আছে। এখানে নিহতদের মধ্যে কয়জন পুরুষ, কয়জন নারী, তার বলা যাবে না। কারণ শরীর ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে। আতিয়া ভবনের জঙ্গির সঙ্গে কোনও মিল বা যোগসূত্র আছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তারা সবাই সব্য জেএমবির সদস্য।’

উল্লেখ্য,  মঙ্গলবার রাত থেকেই মৌলভীবাজারের দুটি বাড়ি ঘিরে রাখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। দু’টির বাড়ির একটি হচ্ছে মৌলভীবাজার পৌরসভার বড়হাট এলাকায় অবস্থিত। অপর বাড়িটির অবস্থান সদর উপজেলার খলিলপুর ইউনিয়নের সরকার বাজার নাসিরপুর গ্রামে।

 আরও পড়ুন: নাসিরপুর জঙ্গি আস্তানায় ৭/৮টি মৃতদেহ

এনএল/সিএ/ এমএনএইচ/