আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জঙ্গি দমন নিয়ে সমালোচনার অর্থ হলো জঙ্গিদের আশ্রয় ও প্রশ্রয় দেওয়া। অনেক রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা এই জঙ্গিদমন নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলছে, জঙ্গিদের কেন জীবিত ধরা হচ্ছে না। জঙ্গিরা অস্ত্রধারী থাকে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের জীবিত ধরতে গেলে তারা হামলা চালায়, তখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রতিরোধ গড়তে পাল্টা হামলা চালাতে বাধ্য হয়। না বুঝে জঙ্গিদমন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন জ্ঞানপাপীরা।’
বর্তমান প্রেক্ষাপটে জঙ্গিবাদ বৈশ্বিক সমস্যা উল্লেখ করেছেন ডিএমপি কমিশনার। তিনি বলেন, ‘এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রীয়ভাবে পৃষ্ঠপোষকতায় একটি শ্রেণী দেশে জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করে।’
জঙ্গিবাদ নির্মূলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চেষ্টার কোনও ঘাটতি থাকবে না জানিয়ে আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেভাবেই হোক উগ্রবাদ নির্মূলে কাজ করবে। এক্ষেত্রে আমাদের ত্রুটি-ব্যর্থতা থাকতে পারে, কিন্তু চেষ্টার ঘাটতি থাকবে না।’
পহেলা বৈশাখে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি প্রসঙ্গে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘গতকাল (১৪ এপ্রিল) বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকারের মধ্যে শঙ্কা থাকলেও জনগণের মধ্যে ভীতি ছিল না, তাদের স্বতস্ফূর্ত অংশগ্রহণ তা প্রমাণ করেছে।’
/আরএআর/জেএইচ/