এদিকে ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার (এসপি) আজবাহার আলী শেখ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সদর থানা থেকে সাত কিলোমিটার পূর্বে পুরাহাটি ইউনিয়নের একটি টিনসেড বাড়িতে সিটিটিসির সদস্যরা অভিযান শুরু করেন। ওই বাড়িতে মোট দু’টি কক্ষ রয়েছে। তবে ভেতরে কাউকে পাওয়া যায়নি। আব্দুল্লাহ নামে এক ব্যক্তি তার স্ত্রীকে নিয়ে ওই বাড়িতে থাকতো। আজ কেউ ওই বাড়িতে নেই। ভেতরে কোনও মানুষের সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। গোলাবারুদ বা বিস্ফোরক থাকতে পারে। ঢাকা থেকে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সদস্যরা খবর পেয়ে এসেছেন। আমরা তাদের সহযোগিত করছি।’ এসপি বলেন, ‘বাড়ির মালিক কোথায় আছেন, তা এখনও জানা যায়নি। বাড়িটি একেবারে অজপাড়া গাঁয়ে। এটি সেমিপাকা।’ অভিযান শেষ হলে জানা যাবে ভেতরে কি আছে বলেও জানান তিনি।
সিটিটিসির বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘বাড়িতে দু’টি কক্ষ রয়েছে। একটি কক্ষ তালাবদ্ধ। খোলার চেষ্টা চলছে। অন্য কক্ষ থেকেবিপুল পরিমাণ আইইডি/ডেটোনেটর, তিনটি সুইসাইডাল ভেস্ট, একটি পিস্তল, একটি প্রেশার কুকার বোম্ব, ২০টি রাসায়নিক ভর্তি কন্টেইনার উদ্ধার করা হয়েছে।’
কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের উপ-কমিশনার মহিবুল ইসলাম খান বলেন, ওই বাড়িতে আব্দুল্লাহ নামে এক ব্যক্তি তার স্ত্রী নিয়ে থাকতো। সে নও মুসলিম। অভিযানকালে তাকে পাওয়া যায়নি।এই আস্তানায় শীর্ষ জঙ্গি নেতাদের যাতায়াত ছিল।
ঝিনাইদহ থেকে বাংলা ট্রিবিউনের প্রতিনি নয়ন খন্দকার জানান, পোড়াহাটি গ্রামের ঠনঠনে পাড়ার ‘জঙ্গি আস্তানার পুরো এলাকা ঘিরে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সেখানে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। ঘটনাস্থলের প্রায় ১ কিলোমিটার দূরে মিডিয়াকর্মী ও এলাকাবাসী অবস্থান করছেন। দফায় দফায় মাইকিং করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা এলাকাবাসীকে ঘর থেকে বের হতে নিষেধ করছেন। নির্দেশনা দিচ্ছেন নিরাপদ দূরত্বে থাকতে।
আরজে /এনএল/ এমএনএইচ/