কাফরুলে ক্লাবে চাঁদাবাজি: ১১ ডিবি সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ

নিউ ওয়েভ ক্লাবর‌্যাব পরিচয়ে কাফরুলের নিউ ওয়েভ ক্লাব থেকে টাকা-পয়সা কেড়ে নেওয়ার ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে ডিএমপি সদর দফতরের গঠিত কমিটি। তদন্ত প্রতিবেদনে ১১ ডিবি সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) সকালে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর পুলিশের জনসংযোগ বিভাগে উপ কমিশনার মাসুদুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘নিউ ওয়েভ ক্লাব থেকে টাকা-পয়সা কেড়ে নেওয়ার ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। এ বিষয়ে ডিএমপি কমিশনারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে তারা সুপারিশ করেছেন।’
চাঁদা দাবির বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে কিনা জানতে চাইলে, মাসুদুর রহমান তা এড়িয়ে যান।
প্রসঙ্গত, কাফরুল থানাধীন ইব্রাহীমপুরের পুলপাড় এলাকায় অবস্থিত নিউ ওয়েভ ক্লাবে জুয়ার আসর থেকে গত ১৮ এপ্রিল টাকা-পয়সা কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা এবং চারজনকে ধরে নেওয়ার প্রাক্কালে স্থানীয় থানা পুলিশ ও মিলিটারি পুলিশের সহায়তায় জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার (ডিবি-পূর্ব) রুহুল আমিন সরকারের নেতৃত্বাধীন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিমকে আটক করা হয়।
এবারই প্রথম নয়, এক মাস আগেও একই ক্লাব থেকে ১৭ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ডিবি পুলিশের একই টিমের বিরুদ্ধে। তাদের অর্থ নেওয়ার সিসিটিভি ফুটেজ স্থানীয় থানায় দেওয়া হলেও পুলিশ কোনও পদক্ষেপ নেয়নি বলে দাবি করে ক্লাব কর্তৃপক্ষ।
এদিকে এবারের ঘটনা নিয়ে আলোড়ন শুরু হলে বুধবার (১৯ এপ্রিল) এই টিমের ১১ সদস্যের মধ্যে গাড়িচালক বাদে ১০ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। তারা হলেন— ডিএমপির একজন কর্মকর্তা জানান, এ ঘটনায় ডিবির সহকারী কমিশনার (এসি) রুহুল আমীন সরকারসহ পরিদর্শক মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহিদুল ইসলাম, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) লুৎফর রহমান, মাহবুবুর রহমান, তোফাজ্জল হোসেন, কনস্টেবল আব্দুল লতিফ, আজিজুল হক, জাহাঙ্গীর আলম খান ও তৌহিদুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গাড়িচালক কনস্টেবল জিল্লুর রহমানের বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। তিনি বলেছিরেন, ‘ডিবির একটি টিম অস্ত্র ও ইয়াবা উদ্ধারে সেখানে গিয়েছিল। একজন নারী মেজরের স্বামীকে আটক করায় বিষয়টি অন্যদিকে মোড় নেয়। আমরা ঘটনা তদন্তে কমিটি করেছি। কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী কেউ দোষী সাব্যস্ত হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

/জেইউ/এআর/