জসীম উদ্দিন রাহমানীসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু

সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মোহাম্মদপুর থানায় দায়ের করা একটি মামলায় আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের প্রধান মুফতি জসীম উদ্দিন রাহমানীসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে বাদীর সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। সোমবার ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক জাহেদুল কবীর মামলার বাদী তৎকালীন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক নিবারণ চন্দ্র বর্মণের জবানবন্দী গ্রহণ করেন।

আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের প্রধান মুফতি জসীম উদ্দিন রাহমানীবিচারক বাদীর জবানবন্দী গ্রহণ শেষে মামলার প্রধান আসামি মুফতি জসীম উদ্দিন রাহমানীর আইনজীবী মো. আনোয়ার হোসেন শিকদারকে জেরা করেন। ৪র্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের পেশকার মো. ইফতেখার আলম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পর প্রথম সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। বিচারক পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১০ জুলাই দিন নির্ধারণ করেছেন।’

মামলার ১০ আসামিরা হলেন- আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের প্রধান মুফতি জসীম উদ্দিন রাহমানী, আমিনুল ইসলাম, আবু হানিফ, মো. আলী আজাদ, পিয়াস ওরফে আবদুল্লাহ আল আসাদুল্লাহ, মো. সাইফুল ইসলাম ওরফে প্রিন্স ওরফে কম্পিউটর নাঈম, জাহিদুর রহমান, জুন্নুন শিকদার, কাজী মো. রেজোয়ান শরীফ ও মো. নাইমুল হাসান।

এদের মধ্যে কারাগারে আটক রয়েছেন- জসীম উদ্দিন রাহমানী, আমিনুল ইসলাম, আবু হানিফ ও পিয়াস ওরফে আবদুল্লাহ আল আসাদুল্লাহ। এছাড়া মো. আলী আজাদ জামিনে রয়েছে। বাকি ৬ আসামি জামিন নেওয়ার পর পলাতক রয়েছেন।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ২৪ আগস্ট রাতে মোহাম্মদপুর, বাড্ডা, যাত্রাবাড়ী, সাভার, সেন্ট্রাল রোড ও এলিফ্যান্ট রোডে অভিযান চালিয়ে গোয়েন্দা পুলিশ মামলার আসামিদের গ্রেফতার করে। তৎকালীন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক নিবারণ চন্দ্র বর্মণ বাদী হয়ে মোহাম্মদপুর থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত শেষে তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক সাব্বির আহমেদ ১০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন ২০১৪ সালের ৮ সেপ্টেস্বর। পরে আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ২০১৬ সালের ২৭ নভেম্বর।

/এসআইটি/এমও/