উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি বাড়ির পাশের মাঠে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় হবিগঞ্জের সুন্দ্রাটিকি গ্রামের চার শিশু। নিখোঁজের পাঁচ দিন পর ইছাবিল এলাকা থেকে বালিচাপা অবস্থায় তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই চার শিশু হলো সুন্দ্রাটিকি গ্রামের আবদাল মিয়া তালুকদারের ছেলে মনির মিয়া (৭), ওয়াহিদ মিয়ার ছেলে জাকারিয়া আহমেদ শুভ (৮), আবদুল আজিজের ছেলে তাজেল মিয়া (১০) ও আবদুল কাদিরের ছেলে ইসমাইল হোসেন (১০)। এ ঘটনায় বাহুবল থানায় নয় জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন আবদাল মিয়া।
একই বছরের ২৯ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের তৎকালীন ওসি মোক্তাদির হোসেন নয় জনের বিরুদ্ধেই আদালতে অভিযোগপত্র দেন।
সুন্দ্রাটিকি গ্রামের দুই পঞ্চায়েত আবদাল মিয়া তালুকদার ও আব্দুল আলী বাগালের মধ্যে পারিবারিক বিরোধের জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড বলে মামলার তদন্ত ও আসামিদের দেওয়া স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে পুলিশ জানিয়েছে।
এ মামলায় কারাগারে থাকা আসামিরা হলো পঞ্চায়েত প্রধান আব্দুল আলী বাগাল, তার দুই ছেলে রুবেল মিয়া ও জুয়েল মিয়া, তার সেকেন্ড ইন কমান্ড আরজু মিয়া ও শাহেদ মিয়া। আসামিদের মধ্যে বাচ্চু মিয়া নামের একজন র্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে মারা যায়। এ মামলার পলাতক আসামি উস্তার মিয়া, বাবুল মিয়া ও বিল্লাল পলাতক। গ্রেফতারকৃত আসামিদের মধ্যে চারজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
/এমএনএইচ/