বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধির চূড়ান্ত খসড়া প্রধান বিচারপতির কাছে হস্তান্তর

 

প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হকনিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাসংক্রান্ত বিধিমালার খসড়া প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার (এসকে সিনহা)  কাছে হস্তান্তর করেছেন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক। বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তিনি এই বিধিমালার খসড়া হস্তান্তর করেন।

বৈঠক শেষে আইনমন্ত্রী জানান, ‘আজ আমি বিধিমালার খসড়া প্রধান বিচারপতির কাছে হস্তান্তর করেছি। এটি এখন তিনি দেখবেন। পরে তা রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হবে। রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর এটি গেজেট আকারে প্রকাশিত হবে।’  

এর আগে বিকাল সাড়ে তিনটা থেকে চারটা পর্যন্ত তিনি প্রধান বিচারপতির সঙ্গে বৈঠক করেন।

গত বৃহস্পতিবারও প্রধান বিচারপতির সঙ্গে বৈঠক করেছেন আইনমন্ত্রী। ওই বৈঠকের পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেছিলেন, নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাসংক্রান্ত বিধিমালা গেজেট আকারে প্রকাশের খুব কাছাকাছি চলে এসেছে সরকার।

উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর মাসদার হোসেন মামলায় ১২ দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দেন আদালত। ওই রায়ের আলোকে নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাসংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা ছিল। ১২ দফার মধ্যে ইতোমধ্যে কয়েক দফা বাস্তবায়ন করেছে সরকার। ইতোমধ্যে ২০০৭ সালের ১ নভেম্বর বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ থেকে পৃথক ঘোষণা করেন।

নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাসংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়নের জন্য ২০১৫ সালের ১৫ মার্চ আপিল বিভাগ চার সপ্তাহ সময় দেন সরকারকে। এরপর গত বছরের ৭ মে আইন মন্ত্রণালয় থেকে একটি খসড়া শৃঙ্খলাবিধি তৈরি করে সুপ্রিম কোর্টে পাঠানো হয়। কিন্তু তা মাসদার হোসেন মামলার রায়ের আলোকে না হওয়ায় সুপ্রিম কোর্ট একটি কমিটি গঠন করে আলাদা একটি শৃঙ্খলাবিধি তৈরি করেন। গত ২ জানুয়ারি এ বিষয়ে আপিল বিভাগে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

২০০৭ সালের ১০ জানুয়ারি আপিল বিভাগ বিচার বিভাগ পৃথকীকরণ সংক্রান্ত চারটি বিধিমালা সাত দিনের মধ্যে গেজেট আকারে প্রকাশের নির্দেশ দেন।

নিম্ন আদালতের এই বিধিমালার গেজেট প্রকাশে রাষ্ট্রপক্ষকে ২২ বার সময় দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

/এমটি/ইউআই/এমএনএইচ/