শরণার্থী আশ্রয় নীতিমালা চেয়ে হাইকোর্টে রিট





সুপ্রিম কোর্টরোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। রবিবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় জনস্বার্থে এই রিট দায়ের করেন আইনজীবী তানজিম আল ইসলাম। চলতি সপ্তাহে অবকাশকালীন যেকোনও বেঞ্চে বিষয়টি শুনানি হতে পারে বলেও জানিয়েছেন রিটকারী আইনজীবী। রিটের পক্ষে শুনানি করবেন আইনজীবী রাশিদুল হক খোকন।

আইনজীবী তানজিম আল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘স্বাধীনতার পর থেকে লক্ষাধিক শরণার্থী আমাদের দেশে বাস করে আসছে। সম্প্রতি মিয়ানমার থেকে লাখ লাখ শরণার্থী আশ্রয় নিতে এসেছে। বাংলাদেশ সরকার মানবিক দিক থেকে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ ১৯৫১ সালের শরণার্থী বিষয়ক কনভেনশন এবং ১৯৬৭ সালের শরণার্থী বিষয়ক প্রটোকলে স্বাক্ষর করেনি। এ কনভেনশন ও প্রটোকল স্বাক্ষর না করায় সরকারের পক্ষে শরণার্থী সংকট মোকাবিলা করা  কঠিন হবে। এছাড়া দেশে শরণার্থী সংক্রান্ত কোনও নির্দিষ্ট আইন নেই। ফলে শরণার্থীরা কিভাবে বসবাস করবে, তারও কোনও বিধি বিধান নেই।’
রিটকারী এই আইনজীবী আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ সংবিধানের ৩১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী দেশের প্রত্যেক নাগরিকের পাশাপাশি সমসাময়িক বাংলাদেশে অবস্থানরত অন্য ব্যক্তিদেরও প্রত্যেকের আইনের আশ্রয় লাভের অধিকারের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সংবিধানের এ বিধান মতে, শরণার্থীরা কিভাবে, কোন আইনের আশ্রয় নেবে, তা নির্ধারণ করা হয়নি। ফলে শরণার্থী সংক্রান্ত আইন প্রণয়ন করা জরুরি হয়ে পড়েছে।’ এ কারণেই আইন প্রণয়নের নির্দেশনা চেয়ে এ রিটটি দায়ের করা হয়েছে বলেও জানান এই আইনজীবী।

উল্লেখ্য, গত ২৪ আগস্ট মিয়ানমারের আরকান রাজ্যে পুলিশ পোস্টে হামলা চালায় সে দেশের একটি বিদ্রোহী গ্রুপ। এতে ১২ পুলিশ সদস্যসহ বহু রোহিঙ্গা হতাহত হয়। এ ঘটনার জের ধরে রাখাইন রাজ্যে অভিযানের নামে হত্যা, ধর্ষণ, বাড়িঘরে আগুনসহ সাধারণ মানুষের ওপর নানা নির্যাতন অব্যাহত রেখেছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। এরপর থেকে লাখ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।