মারধর করায় প্রতিশোধ নিতেই নাসিমকে হত্যা করা হয় বলে পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তিতে জানিয়েছে এ মামলার প্রধান আসামি আসিফ। বুধবার (১৫ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর গুলশান ডিসি অফিসে এ খবর দেওয়া হয়।
ডিএমপি গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মুশতাক আহমেদ জানান, প্রতিশোধ নিতেই নাসিমকে হত্যা করে আসামি আসিফ। গ্রেফতারের পর তাকে ইতোমধ্যে আদালতে পাঠানো হয়েছে। উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষার্থী বাড্ডায় এসি রিপেয়ারিংয়ের কাজ করতো।
গত ৬ নভেম্বর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আসিফ ছুরিকাঘাত করে নাসিমকে। পরে আহতাবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ডিসি মুশতাক আরও জানান, নিহত নাসিমের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালে একটি মাদক মামলা রয়েছে। পুলিশের কাছে আসা তথ্য অনুযায়ী, প্রায়ই সে মারধরের ঘটনায় জড়াতো। তবে আসিফকে কি কারণে মারধর করা হয়েছে তা জানার চেষ্টা চলছে। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া নাসিমের দুই সহযোগীকে খুঁজে বের করা চেষ্টা চলছে।
নাসিমের গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের পটিয়ায়। মধ্যবাড্ডার পোস্ট অফিস গলিতে মা-বাবার সঙ্গে থাকতেন তিনি। তিনি মানারাত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ’র শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বাবা আলী আহমেদ ফয়জুদ্দিন ছেলের হত্যাকাণ্ডে বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। এর এজাহারে রশিদ, রমজান ও আসিফ নামে তিনজনের নাম উল্লেখসহ আরও ৪-৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।