যাত্রাবাড়ীর সেই প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত

 

এনামুল কবির রিপনযাত্রাবাড়ীর ‘অগ্রদূত বিদ্যানিকেতন হাইস্কুল’-এর প্রধান শিক্ষক এনামুল কবির রিপনকে বরখাস্ত করেছে স্কুলটির ম্যানেজিং কমিটি। তার বিরুদ্ধে ছাত্রী, শিক্ষিকা ও অভিভাবকদের যৌন হয়রানি ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় তাকে বরখাস্ত করা হয়। শনিবার (১৮ নভেম্বর) ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হাজী মো. সোহরাব হোসেন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বরখাস্তের সিদ্ধান্তটি জানানো হয়।

এর আগে গত ১২ সেপ্টেম্বর যাত্রাবাড়ীতে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রী, শিক্ষিকা ও অভিভাবকদের যৌন নির্যাতনের অভিযোগ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় বাংলা ট্রিবিউন-এ।

ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হাজী মো. সোহরাব হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘অভিযোগ আসার পর আমরা তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। ওই কমিটি তার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দেওয়ায় তাকে চূড়ান্ত বরখাস্ত করা হয়েছে।’

ম্যানেজিং কমিটির পক্ষ থেকে দেওয়া বরখাস্তের চিঠিতে বলা হয়েছে, এনামুল কবির রিপনের  বিরুদ্ধে  শিক্ষিকা, ছাত্রী ও অভিভাবকদের যৌন হয়রানি  ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি তদন্ত করার জন্য ম্যানেজিং কমিটি তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্তে তিনি দোষী প্রমাণিত হয়েছেন। স্কুলের সব শিক্ষক, শিক্ষিকা তার বিরুদ্ধে গত ২০ সেপ্টেম্বর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, জেলা প্রশাসক, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, স্থানীয় সংসদ সদস্যের কাছে অনাস্থাপত্র দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ‘নন গর্ভনমেন্ট সেকেন্ডারি স্কুল টিচার্স টার্ম অ্যান্ড কন্ডিশন অব সার্ভিস রেজ্যুলেশান ১৯৭৯ সেকশন’ অনুযায়ী এনামুল কবির রিপনকে চাকরি  থেকে  চূড়ান্ত বরখাস্ত করা হলো।’

স্কুলের তথ্য অনুযায়ী, মো. এনামুল কবির রিপন ‘অগ্রদূত বিদ্যানিকেতন হাইস্কুল’ ২০০৩ সালের ১৮ এপ্রিল যোগ দেন। ২০০৫ সালের ১ মে থেকে তাকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ২০০৯ সালের ৩ মে থেকে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করে আসেন। এই বছর অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার আগেও প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালনের সময় অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে। তৎকালীন ম্যানেজিং কমিটি ২০১০ সালের ২৪ মে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়। নোটিশের লিখিত জবাবে ম্যানেজিং কমিটি সন্তুষ্ট না হওয়ায় ঘটনার তদন্তে ৩ সদস্যে কমিটি গঠন করা হয়। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হওয়া চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। পরবর্তী সময়ে দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চাওয়াসহ ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকাণ্ড না করা অঙ্গীকার করেন তিনি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ওই সময় তাকে কাজ করার সুযোগ দেওয়া হয়।