সার্কুলারে জানানো হয়েছে, বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭ দেশের সামগ্রিক আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে প্রণীত একটি বিশেষ আইন। এতে অপ্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ (২১ বছরের কম) ও মহিলার (১৮ বছরের কম) বিয়ে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আদালতের (সুপ্রিম কোর্ট) নজরে এসেছে, বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭’র ১৯ ধারায় অপ্রাপ্তবয়স্কের বিয়ের আবেদন তদন্ত বা কার্যধারাগুলো অনুসন্ধান করা হয়নি। তা না করেই বাল্যবিবাহের অনুমতি দিয়েছেন কোনও কোনও আদালত। এতে করে ব্যর্থতায় পর্যবসিত হচ্ছে আইন প্রণয়নের উদ্দেশ্য। স্বার্থ বিঘ্নিত হচ্ছে অপ্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ ও নারীর। এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
সার্কুলারে আরও বলা হয়েছে— বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭’র ১৯ ধারায় নিতান্তই ব্যতিক্রম হিসেবে কোনও বিশেষ প্রেক্ষাপট বিবেচনায় অপ্রাপ্তবয়স্কের সর্বোত্তম স্বার্থে, আদালতের নির্দেশ ও বাবা-মা কিংবা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অভিভাবকের সম্মতিক্রমে বাল্যবিবাহ অনুষ্ঠানের বিশেষ বিধান রয়েছে। এটি আইনের ব্যতিক্রম হিসেবে সর্বাবস্থায় সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে প্রয়োগযোগ্য। আবার এই আইনের অধীনে কার্যধারা নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে ঘটনার সত্যতা নিরূপণের জন্য আদালতকে এর ১৬ ধারায় সরেজমিনে তদন্ত করার এখতিয়ার দেওয়া হয়েছে।
বাল্যবিবাহ অনুষ্ঠানের অনুমতি দেওয়ার আগে অপ্রাপ্তবয়স্কের স্বার্থ রক্ষিত হওয়ার বিষয় নিয়ে সরেজমিনে তদন্ত বা বিচার বিভাগীয় অনুসন্ধান কার্যক্রমসহ সব বিধিবিধান যথাযথভাবে পালন নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশক্রমে বিশেষভাবে অনুরোধ করেছেন আদালত।