বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ক্ষতিগ্রস্ত শিশুর চিকিৎসায় কেন ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ নয়

হাইকোর্টবিদ্যুৎস্পৃষ্টে ক্ষতিগ্রস্ত ৭ বছরের শিশু রাফসান নূরের চিকিৎসায় কেন ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে সরকারি তহবিল থেকে ওই শিশুর চিকিৎসা ব্যয় প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) এ সংক্রান্ত রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ ও বিচারপতি কাজী রেজা-উল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ আদেশটি দেন।
আবাসিক এলাকায় নিরাপদ বিদ্যুৎ লাইন স্থাপনে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ডিপিডিসি) অপরাগতা ও ব্যর্থতাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তাও জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এছাড়া আগামী ৬০ দিনের মধ্যে ডিপিডিসি কর্তৃপক্ষকে সংশ্লিষ্ট এলাকার খোলা বৈদ্যুতিক তার নিরাপদ করণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী অমিত দাসগুপ্ত। তার সহযোগিতায় ছিলেন আইনজীবী মুনতাসীর মাহমুদ রহমান, প্রভাষ চন্দ্র দাস ও মিজানুর রহমান।
পরে মুনতাসীর মাহমুদ রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আবাসিক এলাকার বাসাবাড়ির কাছ দিয়ে হাইভোল্টেজ বিদ্যুৎ লাইন স্থাপনের বিষয়ে রাজধানীর জিগাতলার এলাকাবাসী অনেকদিন ধরে ক্ষোভ প্রকাশ করে আসছেন। কিন্তু এ বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ না নেওয়াতেই রিটকারীর সাত বছরের শিশুটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা বিষয়টি আদালতে উপস্থাপন করি। আদালত আবেদন শুনে এ বিষয়ে দুটি পৃথক রুল জারি করেন।’

গত ২৭ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী কেএম রেজাউল ফিরোজ মিন্টুর ৭ বছরের সন্তান রাফসান নূর বাসার বারান্দার কাছ থেকে চলে যাওয়া ১১ হাজার বোল্টের খোলা বৈদ্যুতিক তারে বসা পাখি ধরতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। এতে তার মুখমণ্ডলসহ শরীরের ২০ শতাংশ পুড়ে যায়।

এরপর শিশুটিকে ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকদের সেবায় সে প্রাথমিকভাবে আশঙ্কামুক্ত হলেও এখন পর্যন্ত চিকিৎসাধীন আছে। এ নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় খবরও প্রকাশিত হয়।

পরে প্রকাশিত সংবাদগুলোর কপি সংযুক্ত করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন শিশুটির বাবা কেএম রেজাউল ফিরোজ মিন্টু। এর শুনানিতে বৃহস্পতিবার ওই রুল জারি করেন আদালত।