এদিকে, গত ৩ বছরে ১১জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরমধ্যে ৫ জন উচ্চ আদালত থেকে বিভিন্ন সময় জামিন নিয়েছে। তারা হলো—আবুল বাশার, জাফরান হোসেন, জুলহাস বিশ্বাস, তৌহিদুর রহমান, সাদেক আলী মিঠু। ৫ আসামি বর্তমানে কারাগারে রয়েছে। কারাবন্দিরা হলো—আবু সিদ্দিক সোহেল, শফিউর রহমান ফারাবী, আমিনুল মল্লিক, আরাফাত হোসেন ও মুন্না। বাকি মোজাম্মেল হোসেন জামিনে থাকা অবস্থায় মারা যায়।
গত ৩ ডিসেম্বর গ্রেফতারকৃত আসামিদের জব্দকৃত ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন ও গ্রামীণসিম ফরেনসিক বিভাগে পাঠানোর জন্য আদালত পুলিশ বুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দেন। তবে পিবিআই এই বিষয়ে কোনও রিপোর্ট এখনও আদালতে জমা দেয়নি।
এর আগে ২০১৬ সালের ২৯ মার্চ অভিজিতের স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যার আঘাতপ্রাপ্ত হাতের আঙুল চিকিৎসার সুবিধার্থে কেটে ফেলার পর ওই আঙুল ফরেনসিক বিভাগ পাঠানো পর এই বিষয়ে তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে সিআইডিকে নির্দেশ দেন আদালত। তবে ওই রিপোর্ট এখনও আদালতে দাখিল করতে পারেননি বর্তমান তদন্ত কর্মকর্তা।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম কোনও প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মহানগর হাকিম আহসান হাবিব পরবর্তী ১৫ মার্চ নতুন দিন ধার্য করেন।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে দেশে আসেন প্রবাসী অভিজিৎ রায়। ২৬ ফেব্রুয়ারি স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যাসহ বই মেলা থেকে ফেরার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় টিএসসির সামনে তাদের ওপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান অভিজিৎ রায়। এতে গুরুতর আহত হন বন্যা। পরবর্তী সময়ে ওই ঘটনায় অভিজিতের বাবা অধ্যাপক ড. অজয় রায় শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।