এর আগে সোমবার (৯ জুলাই) উত্তরা ক্লাবে অভিযান চালায় শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। অভিযানে ক্লাব থেকে পাঁচ কোটি টাকা মূল্যের ৩ হাজার ৪৫ বোতল বিদেশি মদ ও ২ হাজার ৫০০টি বিয়ারের ক্যান উদ্ধার করা হয়।
অবৈধ মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে নিজেদের জিরো টলারেন্স অবস্থানের কথা জানান মো. শহীদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘অভিযোগ পেলেই আমরা অভিযান পরিচালনা করি না। প্রাথমিকভাবে সত্যতা যাচাই করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করে আমরা অভিযানে যাই। সেক্ষেত্রে যথাযথ তথ্য পেলে অবশ্যই অধিদফতরের আওতাভুক্ত সংশ্লিষ্ট যে কারও বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে।’
উত্তরা ক্লাবে অভিযান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এ ধরনের ক্লাবের বিরুদ্ধে অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এর আগে কোনও সময় এ ধরনের অভিযান পরিচালিত হয়নি। তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করতে হলে সুনির্দিষ্ট তথ্যের প্রয়োজন হয়। তা না থাকলে এটা খুব দুরূহ কাজ হয়। এক্ষেত্রে আজকে ভালো ফলাফল এসেছে। সেজন্য আমরা সাফল্য দেখাতে পারছি। কিন্তু আমরা যদি কিছু না পেতাম তাহলে দৃশ্যপট ভিন্ন হতো। অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে অভিযান পরিচালনা করতে হয়। কোথায় রাখা হয়েছে তা আগে থেকে রেকি করেই অভিযান পরিচালনা করা হয়ছে। প্রথমে উত্তরা ক্লাবের সহযোগিতা পাইনি। পরে অবশ্য তারা সহযোগিতা করেছে। রাত ৩টা পর্যন্ত আমাদের কর্মকর্তারা ক্লাবে ছিলেন। পুরো প্রক্রিয়া শেষ করতে রাত হয়েছে। তাই আজকে আনুষ্ঠানিকভাবে তথ্যগুলো জানানোর প্রয়োজন হয়েছে।’
আরও পড়ুন: উত্তরা ক্লাব থেকে পাঁচ কোটি টাকার বিদেশি মদ উদ্ধার