কুমিল্লার নাশকতা মামলা: খালেদা জিয়ার জামিন বিষয়ে আদেশ সোমবার

 

৮ ফেব্রুয়ারি রায়ের পর আদালতে খালেদা জিয়াবিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাশকতার অভিযোগে বিশেষ ক্ষমতার আইনে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানায় দায়ের করা মামলায় জামিন চেয়ে করা আপিল আবেদনের বিষয়ে আদেশের জন্য সোমবার (২৩ জুলাই) তারিখ নির্ধারণ করেছেন হাইকোর্ট। এদিন দুপুর ২টায় এ মামলায় আদেশ ঘোষণা করবেন আদালত। এ সংক্রান্ত আবেদনের ওপর শুনানি শেষে রবিবার (২২ জুলাই) বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই তারিখ নির্ধারণ করেন।

আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন ও জয়নুল আবেদীন। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, অ্যাডভোকেট এম মাসুদ রানা ও একেএম এহসানুর রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. বশির উল্লাহ।

পরে অ্যাডভোকেট এম. মাসুদ রানা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এর আগে গত ১ জুলাই খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার দেখিয়ে জামিনের আবেদনের শুনানির জন্য ৮ আগস্ট দিন ধার্য করেন কুমিল্লার আদালত। তবু সেখানে পুনরায় জামিন আবেদন করা হয়। সেই আবেদনের আংশিক মঞ্জুর করে খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার দেখানো হলেও জামিন দেওয়া হয়নি। এরপর ওই মামলায় জামিন না পাওয়ায় হাইকোর্টে আবেদন করা হয়। সেই আবেদনের শুনানি শেষে সোমবার আদেশের দিন নির্ধারণ করেন আদালত।

এর আগে ২০১৫ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০ দলীয় জোটের অবরোধ চলাকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রামে বাস পোড়ানোর ঘটনায় মামলা করা হয়। ২০১৭ সালের ২ মার্চ ওই মামলায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এই মামলা বাতিল চেয়ে গত ২৭ মে হাইকোর্টে আবেদন করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। তবে সে শুনানি এখনও আদালতে চলমান রয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন বিচারিক আদালত। রায় ঘোষণার পরপরই খালেদা জিয়াকে নাজিম উদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি এখন সেখানেই আছেন।