বিশেষ ক্ষমতা আইনের বিলুপ্ত ধারায় মামলা গ্রহণে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা

আদালতবিশেষ ক্ষমতা আইন, ১৯৭৪ এর বিলুপ্ত হওয়া ১৬(২) ধারায় মামলা গ্রহণ না করতে পুলিশের মহা-পরিদর্শককে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে অস্তিত্বহীন (বিলুপ্ত) আইন  দিয়ে যেন জনগণকে গ্রেফতার করে হয়রানি না করা হয়, সেজন্যও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এ সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি মামলায় জামিন শুনানিকালে সোমবার (২৩ জুলাই) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন।

এ সময় আদালতে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইউসুফ মাহমুদ মোরসেদ। পরে আদেশের বিষয়ে ইউসুফ মাহমুদ মোরসেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আইনের ১৬ (২) ধারাটি বাতিল করা হয়েছে। তাই আইনে এই ধারার কোনও অস্তিত্ব নাই। সেহেতু এ আইনে মামলা নেওয়া বেআইনী।’

প্রসঙ্গত, ১৯৯০ সালে এরশাদ সরকারের পরে বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ একটি অধ্যাদেশ দিয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৬, ১৭ ও ১৮ ধারা বাতিল করেন। যা পুনরায় বিএনপি ১৯৯১ সালে সংসদে পাস করেছিল। এরপর ২০০৭ সালে জরুরি অবস্থার মধ্যে ‘ক্ষতিকর ও ধ্বংসাত্মক’ (প্রধানত সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধী) কাজ থেকে বিরত রাখতে ১৬ নম্বর ধারাটি পুনরুজ্জীবিত করা হয়।

পরে ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর অধ্যাদেশসহ ১২২টি অধ্যাদেশ সংসদের প্রথম অধিবেশনে পেশ করা হয়, কিন্তু তা পাস হয়নি। যার ফলে বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৬, ১৭ ও ১৮ ধারাগুলো বাতিল অবস্থায় থেকে যায়।