রুলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিব, সড়ক মন্ত্রণালয় সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), ঢাকা মহানগরের পুলিশ কমিশনার, বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) ও দিশারী পরিবহনের মালিককে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার অনিক আর হক। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার এ এইচ ইমাম হাসান, ব্যারিস্টার সানজিদ সিদ্দিকী, অ্যাডভোকেট মেহেদী হাসান প্রমুখ।
মামলা শুনানির সময় আদালত বলেন, রাস্তায় এই ধরনের দুর্ঘটনা সমাধান হওয়া দরকার। এই ধরনের অহরহ ঘটনা বন্ধ করার জন্য সরকারের একটি কমিটি গঠন করা উচিত। অনিয়ন্ত্রিত গাড়ি চলাচল বন্ধে কী পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে, এ জন্য বিশেজ্ঞদের অভিমত নিয়ে একটি নীতিমালা তৈরির পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
এর আগে গত ১৯ জুলাই সৈয়দ মো. মাসুদ রানার বাবা সৈয়দ মো. জাহাঙ্গীরের পক্ষে হাইকোর্টে রিট আবেদনটি দায়ের করেন ব্যারিস্টার এএইচ ইমাম হাসান। রিট আবেদনে বলা হয়, গত ২ জুলাই সকাল সাড়ে আটটার দিকে মিরপুরের বাসা থেকে বের হয়ে মাসুদ রানা তার বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস করার জন্য যাচ্ছিলেন। এ সময় মিরপুর ঈদগাহ মাঠের কাছেই পেছন দিক থেকে আসা দিশারী পরিবহনের গাড়ি মাসুদ রানার রিকশায় ধাক্কা মারে। তখন মাসুদ রানা মাটিতে পড়ে যান। এ সময় তার ওপর দিয়ে বাসটি চলে যায়। সঙ্গে সঙ্গে তাকে পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মিরপুর শাহ আলী থানায় মাসুদের বাবা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। গাড়িচালককে গ্রেফতার হয়।
প্রসঙ্গত, সড়ক দুর্ঘটনায় মাসুদ রানার মৃত্যুর খবর ৩ জুলাই বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হয়। পরে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদন সংযুক্ত করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন রানার বাবা। সেই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করেন।