বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২ ছাত্রকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ আদালতের

কারাগারনিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনের সময় পুলিশের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে দুই মামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২ ছাত্রকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বাড্ডা ও ভাটারা থানার মামলায় বৃহস্পতিবার (৯ আগস্ট) রিমান্ড শেষে তাদেরকে কারাগারে পাঠান ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদার।
আসামিরা হলেন— রেদোয়ান আহম্মেদ, রিসালাতুন ফেরদৌস, রাশেদুল ইসলাম, বায়েজিদ, মুশফিকুর রহমান, ইফতেখার আহম্মেদ, রেজা রিফাত আখলাক, এএইচএম খালিদ রেজা ওরফে তন্ময়, তরিকুল ইসলাম, নূর মোহাম্মদ, সীমান্ত সরকার, ইকতিদার হোসেন, জাহিদুল হক, হাসান, আজিজুল করিম অন্তর, সামাদ মর্তুজা বিন আহাদ, ফয়েজ আহম্মেদ আদনান, সাবের আহম্মেদ উল্লাস, মেহেদী হাসান, শিহাব শাহরিয়ার, সাখাওয়াত হোসেন নিঝুম ও আমিনুল এহসান বায়েজিদ।
বৃহস্পতিবার বাড্ডা থানায় দায়ের করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জুলহাস মিয়া ও ভাটারা থানায় হওয়া মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হাসান মাসুদ দুই দিনের রিমান্ড শেষে আসামিদের হাজির করেন আদালতে। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদেরকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করলে বিচারক শুনানি শেষে দুই তদন্ত কর্মকর্তার পক্ষে আদেশ দেন।
আসামিদের পক্ষে জামিন শুনানি করেন ঢাকা বারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান হাওলাদারসহ আরও কয়েকজন আইনজীবী।
গত ৭ আগস্ট ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি, সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি ও ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ছাত্ররা বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার অ্যাপোলো হাসপাতাল ও নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি এলাকায় লোহার রড, লোহার পাইপ ও ইট দিয়ে পুলিশের ওপর এবং আফতাবনগর মূল ফটকের রাস্তায় যানচলাচলে বাধা দেয়। একইসঙ্গে লাঠিসোঁটা ও ইট-পাটকেল দিয়ে রাস্তার গাড়ি ভাঙচুর করে। পুলিশ বাধা দিলে তাদের ওপর আক্রমণ করে আসামিরা। ওই ঘটনায় বাড্ডা ও ভাটারা থানায় দুই মামলার ঘটনায় তাদেরকে গ্রেফতার করে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ।