খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন সাত দিনের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ

খালেদা জিয়া (ফাইল ছবি)কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের করা নাশকতার মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন সাত দিনের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের লিখিত আদেশের কপি পাওয়ার পর সাত দিনের মধ্যে কুমিল্লার বিচারিক আদালতকে এ আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলেছেন উচ্চ আদালত।

এ মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি করে সোমবার (১৩ আগস্ট) বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন খন্দকার মাহবুব হোসেন, মো. মাসুদ রানা, ব্যারিস্টার এ কে এম এহসানুর রহমান প্রমুখ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. বশির আহমেদ প্রমুখ।

আইনজীবী মাসুদ রানা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এ মামলায় হাইকোর্টের আদেশ পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে বিচারিক আদালতকে খালেদা জিয়ার জামিন অবেদনটি নিষ্পত্তির নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট। এছাড়া আপিল আবেদনটিও নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন আদালত। এতে এ মামলায় খালেদা জিয়াকে দেওয়া পূর্বের জামিন আর বহাল থাকলো না। কুমিল্লার আদালতে খালেদা জিয়াকে আবারও নতুন করে জামিন আবেদন করতে হবে।’

এর আগে ২০ দলীয় জোটের লাগাতার হরতাল-অবরোধ চলাকালে ২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি ভোর রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের জগমোহনপুরে একটি বাসে পেট্রোল বোমা ছুড়ে মারে দুর্বৃত্তরা। এতে দগ্ধ হয়ে ৮ জন যাত্রী মারা যান, আহত হন ২০ জন। এ ঘটনায় চৌদ্দগ্রাম থানার এসআই নুরুজ্জামান বাদী হয়ে ৭৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা ও নাশকতার পৃথক দুই মামলায় আসামি করা হয়। এর মধ্যে বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় হাইকোর্ট তাকে ছয় মাসের জামিন দেন। পরে সে আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন জানায়। কিন্তু আপিল বিভাগ সে জামিন স্থগিত না করে সাত দিনের মধ্যে হাইকোর্টকে খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (১৩ আগস্ট) শুনানি নিয়ে আবেদনটি নিষ্পত্তি করেন হাইকোর্ট।

প্রসঙ্গত, গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর কারাদণ্ডাদেশ দেন বিচারিক আদালত। রায় ঘোষণার পরপরই  খালেদা জিয়াকে নাজিম উদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি এখন সেখানেই আছেন।